বুধবার , ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হতদরিদ্র রোগীরা, লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের বেহাল দশা

প্রতিবেদক
প্রতিনিধি, লংগদু, রাঙামাটি
সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪ ৫:৪২ অপরাহ্ণ

রাঙামাটি জেলার দুর্গম লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের বেহাল দশা, চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা, প্রত্যন্ত এলাকার গরিব দুঃখিরা। লংগদু উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র এই সরকারি হাসপাতাল। দূর দুরান্ত থেকে আসা মানুষগুলো চিকিৎসা সেবা না পেয়ে হতাশ। বুকভরা আশা নিয়ে রোগিরা আসেন একটু ভাল চিকিৎসা সেবা পাওয়ার আশায়। কিন্তু চিকিৎসা সেবা না পেয়ে চাপা ক্ষোভ নিয়ে ফিরে যেতে হয় বাড়ি ঘরে।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল দশটায় হাসপাতালে রোগীর চাপ অনেক বেশী এবং একজন চিকিৎসক দ্বারাই চিকিৎসা সেবা চলছে। বাকি চিকিৎসক কোথায় জানতে চাইলে, হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শাহিন বলেন, ডাক্তারা লংগদুর মত জায়গায় এসে কি বসে থাকবে! তাদের এখানে কি সুযোগ সুবিধা আছে?

প্রশ্ন করা হয়, অ্যাম্বুলেন্স এর ড্রাইভার প্রায় নেশা করে বা অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে। তিনি উত্তরে বলেন, নেশা করা এটা পাহাড়িদের অভ্যাস। এটা আসলে বলার কিছুই না।

তাহলে কি তিনি পাহাড়িদের ছোট করেছেন? নাকি ড্রাইভারকে নেশা করে গাড়ি চালাতে সহযোগীতা করছেন। ড্রাইভারের বিষয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, হাসপাতালের একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী জাহাঙ্গীর তিন মাসের এক শিশুকে ইনজেকশন দিচ্ছে। এধরণের কার্যক্রম প্রতিনিয়ত চলে। এবিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ এই কাজের সাথে জড়িত তাই এসব কাজে তার অভিজ্ঞতা আছে। তবে অফিসিয়ালি ভাবে এধরণের কোন নিয়ম নাই। গত সপ্তাহে সকালে লংগদু হাসপাতালের জরুরি বিভাগে একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য জরুরি অ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজনে মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল দেওয়ার পরও ড্রাইভার ফোন রিসিভি করেনি। পরবর্তীতে রোগীর অবস্থার অবনতি দেখে দ্রুত স্পীড বোট ভাড়া করে রাঙামাটি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, হাসপাতালে গেলে ডাক্তার, নার্স, আয়া ও ওয়ার্ড বয় কারো সহযোগিতা পায়না তারা। ঠিক মত ঔষুধ  পত্র পাওয়া যায়না, বাহির থেকে ঔষুধ ক্রয় করতে হয়। পরীক্ষা নিরিক্ষা করাতে ভাল যন্ত্রপাতি নেই হাসপাতালে। এক্সরে মেশিন নাই কিন্তু এই পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া আছে। পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে চলে যেতে হয় রাঙামাটি বা চট্টগ্রামে। স্টাফদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অভিযোগ। স্বংয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শাহিন মুঠোফোনে বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে নেই অনেক বছর ধরে। তবে এক্স-রে টেকনেশিয়ান আছে। বাংলাদেশের কোন হাসপাতালেই শতভাগ কিছুই থাকে না। তবে বেশির ভাগই ঔষধ থাকে। লংগদু উপজেলা সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯জন ডাক্তার থাকার কথা আছে কিন্তু  ডাক্তার আছে ৩জন। ১৩জন নার্স থাকার কথা বর্তমানে নার্স ৮জন। তবে আমার অফিসে পিয়ন, নাইটগার্ড, ডাক্তার, নার্সসহ অন্যান্য স্টাফ অভাব রয়েছে।

এবিষয়ে রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডাক্তার নূয়েন খীসা বলেন, সব বিষয়ে আমার জানা নাই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত

কাপ্তাইয়ে বন্য হাতির আক্রমণে পিডিবি কর্মচারি আহত

কাপ্তাইয়ে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ 

রুমায় ভিডাব্লিউবি’র চাল বিতরণ

৬ এতিমখানায় বান্দরবান সেনা জোনের ইফতার সামগ্রী প্রদান

বিলাইছড়িতে পালবার লিংসেন্টার পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

রাঙামাটিতে আখ চাষের ওপর দিনব্যাপী সেমিনার অনুষ্ঠিত

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও  প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা জসিমের অকাল মৃত্যু

লংগদুর সাবেক মহিলা মেম্বার মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

পার্বত্য শান্তি চুক্তি দিবস উপলক্ষে ওয়াগ্গা জোনের বিনামূল্যে মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন

বিলাইছড়িতে পুষ্টি সমন্বয় কমিটির পরিকল্পনা কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: