পার্বত্য চট্টগ্রামের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, রাষ্ট্র সংস্কারের পাহাড়িদের মূল্যায়ন, অবিলম্বে পার্বত্য শাস্তিচুক্তি বাস্তবায়ন, স্ব স্ব জাতিসত্তার স্বীকৃতিসহ পাহাড়িদের “আদিবাসী” হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান ও ৮দফা’র দাবিতে খাগড়াছড়ি শহরে হাজারো পাহাড়ি শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন-এর ব্যানারে ‘মার্চ ফর আইডেন্টিটি (পরিচয়ের জন্য মিছিল)-এর শোডাউনটি বুধবার (১৮সেপ্টেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শাপলা চত্বর হয়ে জেলা প্রশাসকের প্রাঙ্গন ঘুরে চেঙ্গী স্কোয়ারে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশের বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছিল না। দিন-দুপুরে মানুষ খুন হত, গুম করা হত। মানুষের কন্ঠরোধ ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। পার্বত্য চট্টগ্রামের অবস্থা ছিল সারাদেশের চেয়ে আরও দ্বিগুণ ভয়াবহ। স্বৈরাচারী শাসন আমলে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত জিইয়ে রেখে পার্বত্য অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে রেখেছিল। দুর্নীতিবাজদের আখড়া বসিয়ে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও পার্বত্য জেলা পরিষদ।
তারা আরও বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সিলেকশন না করে ইলেকশনের মাধ্যে পূনর্গঠনের দাবি জানান। এছাড়াও জেলা পরিষদের নির্বাচনের মাধ্যমে নিয়োগ না দিয়ে সিলেকশন করা হলে ছাত্র-জনতা বসে থাকবেনা বলে হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশে সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি বিকাশ চাকমা’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি রিপুল চাকমা, ক্যসিং মারমা, প্রণয় চাকমা, কৃপায়ন ত্রিপুরা, মংসাই মারমা, ফুটন্ত চাকমাসহ আরও অনেকে।
সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর ৮দফা দাবি’র স্মারককলিপি প্রদান করা হয়।