দীঘিনালা পাহাড়ি বাঙালি সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে রাঙামাটি রক্তে লাল, এর দায়িত্ব ভার কার? তিন জেলায় ১৪৪ ধারা চায় সুশীলজনেরা। শুক্রবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে খাগড়াছড়ির মধুপুর ও দীঘিনালায় হামলা ঘরবাড়ি-দোকানপাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও যথাযথ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন রাঙামাটি সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন এর পাহাড়ি জনতা। পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন নেতা কর্মীরা প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বনরুপা থেকে পৌরসভার দিকে যাচ্ছিল এসময় কে বা কারা ঢিল ছুঁড়ে।
এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভকারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পাহাড়ি বাঙালি দাঙ্গায় পরিনত হয়। গোটা শহর জুড়ে দাঙ্গা বাঁধে। পরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি ও সেনা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় লোকজন জানান, রাঙামাটি সুন্দর একটি পরিবেশকে বিনষ্ট করে দিয়েছে পাহাড়ি ছাত্র বিরোধী আন্দোলন নামধারীরা। আমরা জেএসএসের এধরনের অহেতুক সভা- সমাবেশ থেকে রিবত থাকার আহবান জানাই। ঘটনা ঘটেছে দীঘিনালা এখানে কেন সভা সমাবেশ করতে হয়? শান্ত একটি পরিবরশকে গোলাটে করছে তারা। আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করছি দ্রুত তিন পার্বত্য জেলায় জেএসএস ও ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ করা হউক।
এদিকে পাহাড়ি বিক্ষোভকারীরা তান্ডব লীলা চালিয়েছে বনরুপা জামে মসজিদে, বনরুপা কাচা বাজারে, কালিন্দপুর, হ্যাপীর মোড়সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায়। এ দাঙ্গায় পাহাড়ি বাঙালি উভয়ের মধ্যে বেশ কয়েকজন হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বেশ কিছু স্থানে আগুন দিয়েছে পাহাড়ি ছাত্ররা। ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষত- ক্ষতি হয়েছে।
এব্যাপারে জানতে পাহাড়ি ছাত্রনেতা জিকো চাকমাকে ফোন করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
জেএসএস মূল দল ও সাবেক সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদারকে এবিষয়ে জানতে ফোন দেওয়া হলে তাকেও
ফোনে পাওয়া যায়নি।
বাঙালি ছাত্র পরিষদ নেতা হাবিব আজম বলেন, দীঘিনালা পাহাড়ি বাঙালি সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কেন রাঙামাটির পরিবেশকে গোলাটে করার জন্য প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করতে হবে? দীঘিনালার ঘটনা এখানে টেনে আনার কোন যুক্তি নাই। দীঘিনালার ঘটনায় রাঙামাটিতে যে রক্ত ঝড়লো এর দায়- ভার কে নেবে। সব সময় পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি করে পাহাড়িরা। ছোট খাটো বিষয় নিয়ে ও তারা রক্তপাত ঘটায়। এঘটনার জন্য আমি জেএসএসকে দায়ী করবো।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, অহেতুক দীঘিনালার ঘটনা এখানে নিয়ে এসে সমস্যা সৃষ্টি করেছে তারা। এখন থেকে কেউ আর কোন ধরনের সভা সমাবেশ যেন করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসলে ১৪৪ ধারা জারি করা হবে।
এঘটনায় রাঙামাটির পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করছে। আতংকে ভয়ে আছে সাধারণ মানুষ। শহরের মধ্যে বেশীর ভাগ দোকানপাট বন্ধ। রণক্ষেত্রে পরিনত হয়েছিল গোটা শহর।