খাগড়াছড়ি জেলার নয়টি উপজেলায় অনুষ্ঠিতব্য ৬১টি দূর্গাপূজা ও মন্ডপের নিরাপত্তায় সক্রিয় তৎপরতায় মাঠে নেমেছে প্রশাসন। সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি সদর জোনের কমান্ডার লে: কর্ণেল আবুল হাসনাত জুয়েল রোববার সরেজমিনে পূজামন্ডপগুলোতে গিয়ে হিন্দু ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে সর্বশেষ প্রস্তুতির বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন। খাগড়াছড়ি শহরের প্রায় সবকটি মন্দিরেই সাড়ম্বরে পূজার প্রস্তুতি দেখে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এর আগে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও পৃথক পৃথক ভাবে পূজা কমিটি এবং বিভিন্ন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া জানান, এবার খাগড়াছড়িতে হিন্দু সম্প্রদায় তাদের প্রধান শারদীয় উৎসব দুর্গাপূজা মুখর পরিবেশে পালন করবে। সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিএনপির নেতাকর্মীরা নিরাপত্তা রক্ষায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে থাকবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি-খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি অশোক মজুমদার জানান, সেনাবাহিনী-জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিএনপি’র পক্ষ থেকে পূজার সার্বিক সাড়ম্বরতা এবং নিরাপত্তায় স্বেচ্ছাসেবক দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, এটি দেশের সনাতনী সম্প্রদায়ের অনেক বড়ো উৎসব। দেশের সব ধর্মাবলম্বী মানুষরা শতাব্দীর পর শতাব্দী মিলেমিশে বসবাস করছেন। তাই দেশের প্রধানতম একটি উৎসব হিসেবে, দূর্গাপূজার নিরাপত্তায় পুলিশ সারাদেশেই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করা হবে।
ওয়াদুদ ভূইয়া বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশনা দিয়েছেন আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে থাকতে। আপনারা ভয় পাবেন না। প্রতিটি পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব বিএনপি’র নেতাকর্মী নিয়েছেন। কোন সন্ত্রাসী শারদীয় উৎসবে বিঘ্ন ঘটাতে চাই প্রতিহত করা হবে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, প্রতিটি পূজামন্ডপেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেয়া হবে আর্থিক অনুদানও।