রাঙামাটি শহরের মধ্যে বিদ্যুৎ সেবায় চরম হয়রানি, লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু করে সারা দিন ব্যাপী গোটা শহর জুড়ে বিদ্যুৎ সেবায় চরম হয়রানির শিকার গ্রহকেরা। লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন। গত কয়েক দিন ধরে জেলা শহরের মধ্যে চরম ভাবে বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ে হয়রানি শিকার গ্রাহকেরা।
দিনের ১২ঘন্টায় ১৫-২০বার বিদ্যুৎ আপ-ডাউন করে। এতে ভোগান্তির শিকার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা। তাদের র্নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে নিউজ পাঠাতে পারছে না তারা। এনিয়ে অনেক সংবাদপত্রকর্মী নিজ নিজ ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শহরের মধ্যে বসবাসকারী ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ও অফিস আদালতের লোকজনও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় গ্রাহকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখনো গরম কাল আসেনি এখনই বিদ্যুৎ লোডশেডিং শুরু হয়েছে।পুরো দমে গরম পড়লে মনে হয় বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে না। দিনে ১৫-২০ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। এতে করে চরম বিপাকে পড়তে হয় আমাদেরকে। বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ দিলেও কোন কাজ হয় না। রাঙামাটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় আর রাঙামাটিবাসী সঠিক ভাবে বিদ্যুৎ পাচ্ছেনা। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার।
স্থানীয় ব্যবসায়িরা বলেন, আজকে এত বেশি বিদ্যুৎ লোডশেডিং দেওয়া হয়েছে যা গরম মৌসমকে হার মানিয়েছে। বিদ্যুৎ এর কারনে ব্যবসা-বাণিজ্য কিছুই করতে পারছি না। অনেক রেস্তোরা খাবার হোটেলে দই, প্রোট্রিনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। সারা দিনে ২ঘন্টাও বিদ্যুৎ থাকে না। বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ দিলে তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখান।
বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, রাঙামাটিতে বিদ্যুৎ চাহিদা রয়েছে ১১-১২ মেগওয়াট কিন্তু জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫মেগওয়াট। উৎপাদন কম তাই সরবরাহ ও নাকি কম। জাতীয় ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। যার কারনে বিদ্যুৎ লোডশেডিং দেখা দিয়েছে।
সাংবাদিক উড়াল মনি চাকমা হিমেল বলেন, রাঙামাটির কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে স্থানীয় গ্রাহকদের চাহিদার চেয়েও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। কিন্তু এখানে যথাযথ সেবা না দিয়ে রাঙামাটিবাসীর সাথে বিদ্যুৎ বিভাগ বৈষম্যমূলক আচারণ করছে। রাঙামাটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় কিন্তু রাঙামাটিবাসীকে ফাঁকি দিয়ে সব বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ করা হয়। বিদ্যুৎ বিভাগ এধরনের আচারণ করলে রাঙামাটিবাসী যে কোন সময় আন্দোলতে যাবে।