রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সাবেক কৃষি কর্মকর্তা কাজল তালুকদার। চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনীত হওয়ার পর “পাহাড়ের খবর”-এর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে পত্রিকার সম্পাদক এম. কামাল উদ্দিন, প্রকাশক জিয়াউর রহমান জুয়েল ও রকিব উদ্দিন রকি’র প্রশ্নের জবাবে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, সমাজে উন্নয়ন ও দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানসহ দায়িত্বকালে পরিষদকে পরিচালনা করার পরিকল্পনা তুলে ধরেন তিনি।
প্রশ্ন: স্যার, কেমন আছেন?
উত্তর: ভালো আছি।
প্রশ্ন: আপনি তো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিযুক্ত রাঙামাটি জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান। কেমন অনুভূতি হচ্ছে?
উত্তর: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফসল হিসেবে আজ আমি এই চেয়ারে বসতে পেরেছি, এজন্য সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
প্রশ্ন: আপনার আমলে কেমন পরিষদ হবে বলে আশা করা যায়?
উত্তর: আমি চাই রাঙামাটিতে অসম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে, যেখানে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারে।
প্রশ্ন: আপনার পরিষদের অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলো কী কী হবে?
উত্তর: অতীতে কি হয়েছে সে কথা আমি বলব না, আমি বলবো আমার কথা। আমাকে সবাই পছন্দ ও মনোনীত করেছেন। আমি চেষ্টা করবো শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পর্যটনের উপর বেশি প্রধান্য দিতে। এই খাতগুলোতে উন্নয়ন ছাড়া আমরা সঠিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারবো না। এ এলাকার মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত সঠিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি এবং পর্যটনের সুবিধা না পায়, ততক্ষণ রাঙামাটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হবে না।
প্রশ্ন: পূর্ববর্তী পরিষদে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল, এই বিষয়ে আপনার অবস্থান কী?
উত্তর: আমি অনিয়ম ও দুর্নীতিকে ঘৃণা করি এবং যতক্ষণ দায়িত্বে থাকবো, অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর থাকবো। আগের পরিষদের কেউ যদি দুর্নীতিতে জড়িত থাকে এবং তা প্রমাণিত হয়, তবে শাস্তির আওতায় আসা উচিত বলে আমি মনে করি। আমি সকলের সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু ও কার্যকর পরিষদ পরিচালনা করতে চাই।
উল্লেখ্য: সরকার পরিবর্তনের তিন মাস পর, অবশেষে অন্তর্বর্তীকালীন তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করেছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপনে গঠিত পরিষদ বাতিল করে, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ৭ নভেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলীমা বেগম স্বাক্ষরিত পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে নতুন আদেশ জারি করা হয়েছে। এতে রাঙামাটিতে অবসরপ্রাপ্ত জেলা কৃষি কর্মকর্তা কাজল তালুকদারকে চেয়ারম্যান করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।