সংবিধান সংস্কারের এখনকার জনমত দীর্ঘস্হায়ী না হলে জনআকাংখা প্রতিফলিত হবে না। পরবর্তী সরকারগুলো নিজেদের মতো করেই পুরনো সরকারগুলোর মতো সংবিধান তৈরি ও কার্যকরে চেষ্টা করবে। এজন্যই একটি টেকসই ব্যবস্হা গড়ে তুলতে হবে। সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত জাতীয় জনমত জরিপ শীর্ষক কার্যক্রমের অবহিতকরণ সভায় অংশীজনেরা এমন মতামত জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন এ সভার আয়োজনে করে।
সভায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রট মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ সভাপতিত্ব করেন।
সভায় বক্তারা, সংসদ সদস্যদের নূণ্যতম স্নাতক পাশ ও সংবিধান বিষয়ে নির্দিষ্টমানের পড়াশোনার বাধ্যবাধকতা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসাথে দলের মনোনয়ন পেতে কমপক্ষে তিন বছরের প্রাথমিক সদস্যপদ থাকা, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন, সংসদের মেয়াদ চারবছর ও দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকা এবং প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য তৈরিতে বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান।
বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন- ‘আমরা আশা করছি মিডিয়া, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে এই জনমত জরিপের কার্যক্রম সফলভাবে শেষ হবে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলার একটি সুনির্দিষ্ট এবং সুন্দর জনমত জরিপের ফলাফল আমরা সরকারের কাছে পৌঁছাতে পারবো’।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমীন ও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভুঁইয়া, জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ- পরিচালক মোহাম্মদ নুর উজ জমান বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া রাঙামাটি জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আলী বাবর, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মো. মনছুরুল হক, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সৈকত রঞ্জন চৌধুরী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।