বড়দিন উদযাপন ও থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে খ্রিষ্টানদের বড়দিন ও থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিব উল্লাহ’র সভাপতিত্বে জেলার বিভিন্ন খ্রিষ্টান চার্চের নেতৃবৃন্দ ও সরকারী বেসরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এই বিশেষ সভায় অংশ গ্রহন করে।
বিশেষ সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিব উল্লাহ বলেন,বড় দিনে ও থার্টি ফাস্ট নাইট পালনকালে ফটকা আতশবাজি ফুটানো সরকারি ভাবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাই এসব কাজ যেন কেউ না করে সে দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। বড়দিন উদযাপন ও থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে গোটা জেলায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী নিয়োজিত থাকবে তাই আশা করি কেউ কোন প্রকার অরাজকতা করতে সাহস পাবে না। আপনারা আপনাদের নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করবেন। ১০ উপজেলার ইউ এন ও এবং ওসিদের বলে দেওয়া হবে যেন কড়া নজরদারি রাখেন।
পুলিশ সুপার এস এম ড. ফরহাদ হোসেন বলেন, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্ভীরা যেন তাদের বড় দিন সঠিক ভাবে পালন করতে পারে সে লক্ষে জেলা পুলিশ আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে যথাযথ ভূমিকা রাখবে। প্রত্যেক গির্জা ও চার্চে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়ন করা হবে। আশা করি কোথায়ও কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। বড় দিন উদযাপন ও থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে ১৩৬টি গির্জায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উদযাপন ও থার্টি ফাস্ট নাইট পালন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়নসহ নিরাপত্তার জোরদারের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়। সভায় বিশেষ করে কাপ্তাই উপজেলা ও রাঙামাটি সদর উপজেলার গির্জা ও চার্চে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য জেলা প্রশাসককে পরামর্শ দেওয়া হয়। ওই দিন নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। যে সব জায়গায় আশংকা ও নিরাপত্তার অভাব দেখা দেবে সেখানে জেলা হতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার ড.এসএম ফরহাদ হোসেন,রিজিয়ন কমান্ডারের প্রতিনিধি, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আক্তার, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা.শওকত আকবর,রাঙামাটি সেক্টরের বিজিবি’র প্রতিনিধি, বিভিন্ন চার্চের প্রতিনিধিবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ আরো অনেকে।