পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটিতে চলমান অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে এক সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
আদালত বলেছেন, ওই তিন জেলার জেলা প্রশাসকরা এক সপ্তাহের মধ্যে এই কার্যক্রম বন্ধ করবেন এবং তাদের অগ্রগতি সম্পর্কে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সঞ্জয় মণ্ডল, এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া, নাসরিন সুলতানা এবং সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. তানিম খান।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ২০২২ সালে ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)’ পরিবেশ সংরক্ষণে জনস্বার্থে একটি রিট দায়ের করে। রিটে বলা হয়, লাইসেন্সবিহীন অসংখ্য অবৈধ ইটভাটা পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। এই ইটভাটাগুলো পাহাড়ি এলাকায় বনাঞ্চল ধ্বংস এবং পরিবেশ দূষণে ভূমিকা রাখছে।
আদালত রিটের শুনানি শেষে অবৈধ ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা দেন। তবে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া এবং অগ্রগতির প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় আদালতে এইচআরপিবির পক্ষে নতুন করে আবেদন করা হয়।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ইট উৎপাদনের মৌসুম। এই সময়ে সারা দেশে অসংখ্য লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা কার্যক্রম শুরু করেছে। এর ফলে পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। শুনানি শেষে আদালত সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেন, তারা যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে পদক্ষেপ নেন।