শুক্রবার , ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

ইছামতি নদীর খাদের তীরে ঝুলে আছে কাউখালীর আবু তাহেরের ভাগ্য!

প্রতিবেদক
আরিফুল হক মাহবুব, কাউখালী, রাঙামাটি।
জানুয়ারি ১৭, ২০২৫ ৪:৪৩ অপরাহ্ণ

মোঃ আবু তাহের। পেশায় একজন দিনমজুর। পরিবারের সদস্য সংখ্যা নয় জন। ২৫ বছর ধরে বসবাস করেন রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার রাঙ্গীপাড়া গ্রামে। তাহেরের এক ছেলে তিন মেয়ে। ছেলে রাসেলও পেশায় একজন দিনমজুর। তিন মেয়ের সবাইকে বিয়ে দিয়েছেন তাহের। ছোট মেয়ে হাসিনা শারীরিক প্রতিবন্ধী। জন্ম থেকে তার একটি পা নেই।

কিন্তু দিনমজুর বাবার কাঁধে হাত রেখে এক পায়ে ভর করে স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজে পদার্পন করেছেন  আত্মপ্রত্যয়ী হাসিনা। ২০১৫সালে এসএসসিতে অংশগ্রহণ করে ৩.০৫ পয়েন্ট পেয়ে উত্তীর্ণ হন। অভাব অনটনের সংসারে যেখানে এক বেলা খাবার যোগাতে হিমশিম খেতে হয় বাবা তাহরেকে। সেখানে মেয়েকে কলেজে ভর্তি করানোর স্বপ্ন দেখাতে থাকেন দিনমজুর তাহের।

অর্থ নামক টানাপোড়েনের বাঁধা উপেক্ষা করে কাউখালী কলেজে ভর্তি হন শারীরিক প্রতিবন্ধী হাসিনা। এইচএসসিতে ৩.১৭ পয়েন্ট নিয়ে সেখানেও উত্তীর্ণ হন। বর্তমানে কাউখালী কলেজে ডিগ্রিতে পড়ছেন হাসিনা। তাহেরের পরিবারে উপার্জনক্ষম বলতে তিনি এবং তার ছেলে। দু’জনের কাঁধে ভর করে চলছ পরিবার নামক ৯ সদস্যের বিশাল এক জাহাজ।

২৫ বছরে পৃথিবী অনেক বদলে গেছে। কিন্তু বদলায়নি তাহেরে ভাগ্য। জমিজমা বলতে তাহেরের কিছুই নেই। অন্যের জমিতে  মাথা গোঁজার জন্য আছে একটি ঝুপড়ি ঘর। নেই কোন স্যানেটেশন ব্যবস্থা। ঘরের ভেতর শুয়ে পূর্নিমার চাঁদ আর আকাশের তারা গুনতে তাহেরদের খোব একটা সমস্যা হয়না। ২০১৭ ও ২৪ সালের টানা বর্ষনে সৃষ্ট বন্যায় মাথার গোঁজার একমাত্র অবলম্বন সেই ঘরটিও আজ ইছামতি নদীতে বিলীন হওয়ার পথে।

ঘরের অর্ধেক ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে চলে গেছে। যেটুকু ঘর অবশিষ্ট রয়েছে তার মাঝ বরাবর ফাটল ধররেছে। নদীর পাড়ে অন্ততঃ ৬০ ফিট খাদের কিনারায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ঠাই দাড়িয়ে আছে তাহরের বেঁচে থাকার স্বপ্ন। যে কোন মূহুর্তেই নদীতে বিলীন হয়ে যাবে ঘরটি।

বিগত ১৫ বছর আইডি কার্ড হাতে তাহের সরকারী একটি ঘরের আশায় কতো শত রাজনৈতিক নেতা এমনকি সরকারি কর্তা ব্যক্তিদের পেছনে পেছনে ঘুরেছেন তার কোন ইয়াত্তা নেই। তবুও ভিটেমাটি হীন দিনমজুর তাহেরের কপালে একটি ঘর জুটেনি। প্রশ্ন হলো তাহেরের মতো ভিটেমাটি হীন অসহায় পরিবার সরকারি ঘর না পেলে শত শত ঘর কারা পেলো? সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে খতিয়ে দেখার সময় হয়েছে।

এসব ভিটেমাটিহীন অসহায় তাহেররা ঘর না পাওয়ার কারণ সরকারী ঘর পাওয়ার যোগ্যতার দৌড়ে রাজনৈতিক যে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তৈরী করা হয়, তাহেররা সেখানে বারবারই অনুত্তীর্ণ হয়েছেন। তাহেরদে মতো ব্যক্তিদের রাজনৈতিক কোন বলয় নেই। ফলে এসব সরকারী ঘর পাওয়ার অধিকারও তাদের নেই।

তাইতো জীবনের নিরাপত্তায় শতভাগ ঝুঁকি থাকার পরও থাকতে হবে এখানেই। মানুষ হয়তো জানবে কোন এক বর্ষায়  তাহেররা ভয়াল ইছামতির শ্রোতের তরে হারিয়ে গেছে। এরকম কতো তাহের সমাজের অলিগলিতে নিজের জীবনের গল্প সাজাচ্ছেন কে জানে?

কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত

পার্বত্য চুক্তির সাংঘর্ষিক ধারা সংশোধনের দাবি পিসিসিপির

৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদীর মৃত্যু বান্দরবানে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মোৎসবে রাবিপ্রবি ক্যাম্পাসজুড়ে আনন্দ উচ্ছ্বাস 

কাপ্তাইয়ে শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে নানা আয়োজন 

লংগদু উপজেলা চেয়ারম্যান বারেক সরকারের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন আ.লীগ নেতাকে জুতাপেটার অভিযোগ

খাগড়াছড়িতে আওয়ামীলীগ বিএনপি’র কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া,  উভয়পক্ষের আহত ৮

কাপ্তাইয়ে পরোয়ানাভুক্ত আসামী আটক

রাজস্থলীতে সেনা অভিযানে এক যুবক আটক

রাঙামাটির দুর্গম সীমান্তবর্তী পাহাড়ী এলাকায় বিজিবির শীতবস্ত্র বিতরণ

খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে গণপিটুনিতে আহত ইউপিডিএফ কর্মীর মৃত্যু

%d bloggers like this: