বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় তারুণ্যের অবদানের স্মরণে রাঙামাটিতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। আজ রবিবার সকাল ১১টায় পরিষদের এনেক্স ভবনের সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে পৃথকভাবে মোট ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে লংগদু উপজেলার মো. আমান উল্ল্যাহ ও মো. ইমরান– এই দুই শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে প্রদান করা হয়। এছাড়া মো. উসমান হারুন, মো. আবদুল হক, রাকিব হাসান– এ তিনজনের মাঝে জনপ্রতি ৪০ হাজার টাকা এবং মো. কামরুল হাসান কাদের, নবাব শরীফ সজীব ও আবদুল আহাদ– এ তিনজনকে জনপ্রতি ৩০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার। এসময় তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে। তাদের সাহস ও অবদানের প্রতি সম্মান জানাতেই এ সংবর্ধনার আয়োজন। জেলা পরিষদ জনগণের পরিষদ, জেলা পরিষদ আপনাদের পরিষদ তাই আমরা সর্বদা আপনাদের পাশে থাকবো।
অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী মোঃ আমান উল্ল্যাহ তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমরা অতীতের কথা মনে ধারণ করে ভবিষ্যতের কথা বলতে চাই। ভবিষ্যতে নতুন বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন। বাংলাদেশ যদি বহির্বিশ্ব থেকে ২০ বছর পিছিয়ে থাকে, তাহলে পার্বত্য অঞ্চলও বাংলাদেশ থেকে ২০ বছর পিছিয়ে আছে। তাই এই পার্বত্য অঞ্চলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে সব জাতি-গোষ্ঠীকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।
এসময় জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের সদস্য দেব প্রসাদ দেওয়ান, বরুন বিকাশ দেওয়ান, বৈশালী চাকমা, মো. হাবীব আজম, মিনহাজ মুরশীদ, লুৎফুন্নেসা বেগম, প্রনতি রঞ্জন খীসা, ড্যানিয়েল লাল মুয়ান সাং পাংখোয়া, প্রতুল চন্দ্র দেওয়ান, সাগরিকা রোয়াজা, নাইউ প্রু মারমা, রাঙাবী তঞ্চঙ্গ্যা, দয়াল দাশ, ক্যওসিংমং সহ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।