“এসো মিলি হৃদয়ের টানে পরানে পরানে” স্লোগানে রাঙামাটিতে হয়ে গেল পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া বর্তমান ও সাবেক পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের প্রথম পুনর্মিলনী ও জাবিয়ান মিলন মেলা।
এতে ১৯৭৭ সালের বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম ব্যাচ থেকে সর্বশেষ ৪২ তম ব্যাচের প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
একদিনের জাবিয়ানদের এ মিলন মেলা যেন পরিণত হয় পাহাড়ের এক ঝাঁক তারার মেলা।
শুক্রবার রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মাঠে এ মিলন মেলার আয়োজন করা হয় । সাবেক ও বর্তমান জাবিয়ান শিক্ষার্থীরা এ মিলন মেলার আয়োজন করে।
পাহাড়ি জাবিয়ানদের এ মিলন মেলায় প্রবাসে থাকা জবির সাবেক শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
শীতের কুয়াশার সকালে পাহাড়ের বিভিন্ন প্রান্থ থেকে আসা পাহাড়ি জাবিয়ানরা জড়ো হতে থাকেন নৃ গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে। হলের প্রাণের বন্ধুকে পেয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। তাঁদের হাসির রোলে নৃ গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ এক মুহুর্তে হয়ে ওঠে জাবির ক্যাম্পাস।
সকালে ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে আনন্দ শোভাযাত্রা করেন জাবির সাবেক ও বর্তমান পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা।
পরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিনের অনুষ্ঠান সূচির শুভ সুচনা করেন। এরপর উড়ানো হয় রঙিন বেলুন।
এরপরে ব্যাচ ভিত্তিক ফটোসেশান করেন। এরপর বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
বিভিন্ন ব্যাচের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করেন।
মধ্যাহ্নভোজের পর বিকালে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন জবির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
মিলন মেলায় অংশ নেয়া অধিকাংশ জাবিয়ান বর্তমান রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত আছেন। অনেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। অনেকে সমাজে রাষ্ট্রের গুরুত্বপুর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।