শুক্রবার , ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

বৈসাবির রঙে রাঙা রাঙামাটি : বলি খেলা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন অনুষ্ঠিত

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি
এপ্রিল ১১, ২০২৫ ১১:৫৩ অপরাহ্ণ

চৈত্র সংক্রান্তি ও বৈসাবি উৎসবকে কেন্দ্র করে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে চলছে পাহাড়ি জনপদের বর্ণিল উৎসব। পাহাড়ের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব বিজুর অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হলো পাহাড়ি ঐতিহ্যের অন্যতম আকর্ষণ বলি খেলা। থেমে থেমেই দুই ঢোলীর ঢোলের আওয়াজ বাড়ছে। প্রতিপক্ষকে মাটিতে শুইয়ে দেয়ার প্রাণপন চেষ্টা উন্মাদনায় রুপ নিচ্ছে। দুরু দুরু বুকে কাঁপন ধরছে প্রিয় বলি হেরে যাওয়ার আশংকায়। গ্যালারিতে মুহুর্মুহু উল্লাসে ফেটে পড়ছেন নানা বয়সী দর্শকেরা। খুশির এ উন্মাদনা যেন ক্ষণিকের জন্য ভুলিয়ে দিয়েছে জীবনের নানা জঞ্জাল! রাঙামাটি মারী স্টেডিয়ামে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী বলি (কুস্তি) খেলার অনুষ্ঠানের দৃশ্য ছিল এমনই।

শুক্রবার বিকেলে বিজু উৎসবের তৃতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে এমন আয়োজন। চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে বিজু, সাংগ্রাইং, বৈসু, বিষু, বিহু, চাংক্রান, পাতা উদযাপনে চারদিনের কর্মসুচি পালন করছে উৎসব উদযাপন কমিটি। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা উরফে সন্তুলারমা , যিনি খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেএসএসের সহসভাপতি ও সাবেক এমপি ঊষাতন তালুকদার, উৎসব উদযাপন কমিরি সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, সদস্য সচিব ইন্টুমনি তালুকদারসহ অন্যরা। বলি খেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন খাগড়াছড়ির জেলার শ্রীজন চাকমা ও বাবু মারমা। আর তৃতীয় স্থান অর্জন করেন রাঙামাটির দীপু তালুকদার।

খেলা শেষে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর শিল্পীরা নিজেদের পোশাক ও অলংকারে সজ্জিত হয়ে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে পাহাড়ি সংস্কৃতির বৈচিত্র্য তুলে ধরেন। যেখানে পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী হেংগড়ং সুরে বর্ণিল আয়োজনের সূচনা হয়। এরপর পাহাড়ের ১৩টি ভাষাভাষী গোষ্ঠীর অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় তাদের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, গান ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

পাহাড়িদের সংস্কৃতির এমন সুর-তাল-নৃত্যে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা। আয়োজকরা বলছেন, এমন আয়োজনের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর হারিয়ে যেতে বসা সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও ঐতিহ্যবাহি বলি খেলার মাধ্যমে আরও বলি গড়ে উঠুক।

বিজু, সাংগ্রাইং, বৈসু, বিষু, বিহু, চাংক্রান, পাতা উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ইন্টুমনি তালুকদার বলেন, প্রতিবছরই পাহাড়ে ঐতিহ্যবাহী বলী খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তার ধারাবাহিকতায় এবছরও আমরা বলী খেলার আয়োজন করেছি এবং পার্বত্য অঞ্চলের বলীদের খেলায় অংশগ্রহণের আহব্বান জানাই। আমাদের আহব্বানে এবছর ২২ জন বলী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে।আমরা চাই এখান থেকে আরও বলী গড়ে উঠুক। আমরা অনুপ্রেরণা দিতে এসবের আয়োজন করছি।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: