রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলা। রোববার (২৫ মে ২০২৫) সকালে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি ও বেলুন উড়িয়ে মেলার শুভ সূচনা করা হয়। পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মারুফ ফিতা কেটে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ভূমি মেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ, ভূমি অফিস, চাকমা সার্কেল চিফ, হেডম্যান-কারবারিসহ নানা পক্ষের ১০টি স্টল বসে। আজ থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে আগামী ২৭ মে পর্যন্ত। এবারে মেলার প্রতিপাদ্য ধরা হয় ‘নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি, নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি’।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক ও রাঙামাটি পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ মোবারক হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আজহারুল ইসলাম মুকুল, প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, হেডম্যান-কারবারী ও শিক্ষার্থীরা।
এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, এখানকার ভূমি ব্যবস্থাপনা, ভূমির প্রকৃতি ও ভূমি ব্যবহারকারী মানুষ সারা দেশের তুলনায় অনেকটাই ভিন্ন। রাঙামাটি সহ তিন পার্বত্য জেলায় ভূমি অনেকটাই অগুছালো। তিন পার্বত্য জেলায় পারস্পরিক অবিশ্বাস ও জটিলতার মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো ভূমি ব্যবস্থাপনা। এখানে প্রথাগত ভূমি ব্যবস্থাপনায় নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন হেডম্যান-কারবারিরা। এই প্রথাগত ব্যবস্থাপনা বহুযুগ ধরে চলে আসছে। এখানকার মানুষের একটি বড় অংশ এই প্রথাগত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মালিকানা সংরক্ষণ এবং সংযোজন করে যাচ্ছে। এটি বৃটিশ আমল থেকেই চলে আসছে, যা এখনো পর্যন্ত সরকার স্বীকৃতি ও সম্মান জানিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি এখানে সেই পুরানো আমল থেকেই যে ব্যবস্থাপনা এবং রাষ্ট্রের আইনের যে অবারলেপিং এর কারণে মতবিরোধ হয়েছে। তার উপর ভিত্তি করে জেলা পরিষদ শুরু করে আরও তিনটি প্রতিষ্ঠান ভূমি ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িয়ে পড়েছে। এই বিভিন্ন মুখী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমাদের কাজ করতে হয়। তিন দিনের এই মেলায় আমরা সকল পক্ষকে এক ছাদের নিচে এনে ভূমি সেবা দিচ্ছি। এতে ভূমি সেবা সহজীকরণ ও সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা আসা রাখছি।