রবিবার , ১৩ মার্চ ২০২২ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

কাপ্তাইয়ে নারীর লাশের পরিচয় মিলেছে

প্রতিবেদক
পাহাড়ের খবর ডেস্ক।
মার্চ ১৩, ২০২২ ৫:১৪ অপরাহ্ণ

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই।

শনিবার (১২ মার্চ ) বিকালে কাপ্তাই বিএফআইডিসি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত টয়লেটে পাওয়া অজ্ঞাত মহিলা লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম হাসিনা আক্তার সুমি (৩১)। সে কাপ্তাই উপজেলার ২ নং রাইখালী ইউনিয়ন এর মৃত আব্দুর রশীদ এর মেয়ে।  নিহতের স্বামী হাতির মাহুত ইমাম উদ্দিন বান্দরবানের আলীকদমে বসবাস করে।  নিহতের মা আমেনা বেগম রবিবার সকালে থানায় এসে মেয়ের পরিচয় নিশ্চিত করেন। আমেনার দাবী এটি হত্যাকান্ড।

এটি হত্যাকান্ড সন্দেহ কাপ্তাই থানা পুলিশের।  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহতের মা আমেনা বেগম সাংবাদিকদের জানায়, মেয়ের সাথে জামাই ইমাম উদ্দিনের তালাক হয়েছে তিন মাস আগে। তালাক হলেও তাদের মধ্যে টাকার লেনদেন ছিল।  তালাক হবার পরও তাদের মধ্যে ইসলামিক রীতি অনুযায়ী আবার বিবাহ হওয়ার কথা ছিল।  কিন্ত কাপ্তাইয়ের ঢাকাইয়া কলোনিতে বসবাসরত সুমির বান্ধবী রুমি আমার মেয়ের জামাইকে প্রেমে ফেলে বিয়ে করার জন্য মেয়েকে হত্যা করেছে।

আমেনার আরো অভিযোগ কয়েকদিন আগেও আমার মেয়েকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছে মেয়ে জামাই ।

কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, পরিকল্পিতভাবে সুমিকে হত্যা করে মুখমন্ডল জ্বালিয়ে দিয়ে স্কুলের টয়লেটর মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। হাসিনা প্রেম ঘটিত হত্যাকান্ড  বলে মনে হচ্ছে।

ওসি জানান, জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সন্দেহজনক দুই জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত ও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

এদিকে রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর মোদদা্ছছর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহামুদা বেগম, কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব, কাপ্তাই থানার ওসি জসিম উদ্দীন সহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

এ সময় রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন সাংবাদিকদের জানান, এটি একটি পরিস্কার হত্যাকান্ড। তাঁকে মেরে বাথরুমে ফেলে দেওয়া হয়েছে এবং তাঁর শরীরের কিছু অংশ পোড়া রয়েছে। যাতে করে কোন চিহ্ন বা আলামত না থাকে। আমরা সন্দেহজনক দুইজনকেে আটক করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং আরোও একজন সন্দেহের তালিকায় আছে। তিনি জানান, হত্যাকারী যেই হউক না কেন শীঘ্রই তাঁরা ধরা পড়বেই। নিহতর মা বাদী হয়ে রবিবার কাপ্তাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

%d bloggers like this: