৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে বিশাল গণমিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী ঈদগাঁও উপজেলা।
৪ আগস্ট সোমবার বিকেল ৫ টায় এ কর্মসূচি শুরু হয়। বাজারের শাপলা চত্বর থেকে শুরু হওয়া গণ মিছিলটি প্রধান সড়ক ডিসি রোড অতিক্রম করে বাসস্টেশনে যায়। পরে বাস স্টেশনের গরুর বাজার এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে ক্যান্ডল ৭১ রেস্টুরেন্ট প্রাঙ্গনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও ইউনিট থেকে খন্ড খন্ড মিছিল গণ মিছিলে এসে যোগ দেয়।
উপজেলা জামায়াত সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল আজিম এর সঞ্চালনায় মিছিল পরবর্তী বিশাল সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আমির মাওলানা জলিম উল্লাহ জিহাদী। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কক্সবাজার- রামু ও ঈদগাঁও আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শহিদুল আলম বাহাদুর।
অন্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট ছলিম উল্লাহ বাহাদুর, জেলা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও ইসলামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাওলানা দেলোয়ার হোছাইন ও জামায়াত নেতা লায়েক ইবনে ফাজেল।
এসময় বক্তারা বলেন, বিগত ২৪ সালের এই দিনে ছাত্র-জনতার মহাজাগরণে তৎকালীন স্বৈরশাসক খুনি হাসিনার তখত নড়বড়ে হয়ে উঠে। পরদিন তিনি তার দাদার বাড়িতে পালিয়ে যান। সেখান থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করতে তিনি নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। বাংলার জনগণ খুনি হাসিনার উপযুক্ত বিচার চান।
এ স্বৈরশাসক জামায়াত এবং শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেও মহাজাগরণ ঠেকাতে পারেনি। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দেশে তার দল ও অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।
মিছিল ও কর্মসূচিতে ছিলেন উপজেলা জামায়াত নেতা মাওলানা ছৈয়দ নূর হেলালী, ডাক্তার আলহাজ্ব আমির সোলতান, মাস্টার ছৈয়দুল আলম হেলালী, ইসলামাবাদ জামায়াত সভাপতি মাওলানা হারুন অর রশিদ, মাওলানা সরওয়ার কামাল, মুফিজুর রহমান মুফিজ, অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ মহসিন, তৈয়ব উদ্দিন, মাওলানা সরোয়ার কামাল, কামাল আহমদ পাশা, জয়নাল আবেদীন, মাওলানা বশির আহমেদ, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, এডভোকেট এস,কে আহামদ ফারুকী, শাহজান মনির কোম্পানি প্রমুখ।
মিছিলটি দাড়িপাল্লা মার্কার নির্বাচনী শোডাউনে পরিণত হয়। মিছিলকারীরা বিভিন্ন সাইজের দাঁড়িপাল্লা প্রদর্শন করে। অনেকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও জামায়াতের দলীয় পতাকা বহন করে। খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে আসা নেতাকর্মীরা মাথায় লাল-সবুজের ফিতা পরিধান করে। মিছিলে যোগদানকারীরা নানা শ্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে তোলে।
উল্লেখযোগ্য স্লোগানের মধ্যে ছিল ‘আল কোরআনের আলো সংসদে জ্বালো’, জুলাইয়ের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, বিচার চাই বিচার চাই গণহত্যার বিচার চাই, ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই, ফ্যাসিবাদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না, দালালি না রাজপথ রাজপথ রাজপথ, আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ, ভিক্ষা লাগলে ভিক্ষা নে চাঁদাবাজি ছেড়ে দে প্রভৃতি।