খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং পু্লিশ ফাঁড়িতে ওয়াইফাই ব্যাবসায়ীকে ডেকে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক মোঃ নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে।
আজ (১৯ আগষ্ট মঙ্গলবার) বিকাল ৪ টার দিকে মেরুং ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের আব্দুল হই এর ছেলে ক্যাবল ওয়াইফাই ব্যবসায়ী মোঃ ইসমাইল হোসেন(২৭) কে ডেকে নিয়ে যায় ফাঁড়ির পুলিশ। পরে সেখানে ফ্রিতে ওয়াইফাই সংযোগ চান উপপরিদর্শক, ফ্রি-তে ওয়াইফাই সংযোগ দিতে অস্বীকৃতি জানান ওই ব্যাবসায়ী। পরে রুমে নিয়ে হাত-পায়ে মারধর করা হয়।
সরেজমিনে বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ঘটনাস্থলে গেলে ব্যবসায়ী মোঃ ইসমাইল হোসেন কে মারধর করার সত্যতা পাওয়া যায়। তার দু-হাত রক্তাক্ত ও জখম অবস্থায় দেখা যায়।
ওয়াইয়াই ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন জানান, মেরুং পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মোঃ নাজমুল হাসান তাকে ফাঁড়িতে ডেকে নিয়ে যান এবং একপর্যায়ে ফ্রি-তে ওয়াইফাই দিতে বলেন। পরবর্তীতে আমি ফ্রি-তে ওয়াইফাই দিতে অস্বীকার করলে, তিনি আমার মোটরসাইকেল চাবি নিয়ে নেওয়া যান এবং বলে এটি চোরাই মোটরসাইকেল। এক পর্যায়ে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গাছের লাঠি দিয়ে মারধর করেন।
এ বিষয়ে মেরুং পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মোঃ নাজমুল হাসান জানান, তাকে ডেকে আনা হয়ে তবে তাকে মারধর করা হয়নি।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ জাকারিয়া জানান, মেরুং পুলিশ ফাঁড়িতে এক ব্যাবসায়ীর সাথে পুলিশের উপপরিদর্শক মোঃ নাজমুল হাসান এর সাথে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এবং একজন আহত হয়েছেন। আমি আহত ব্যাক্তির চিকিৎসা সেবার সকল ব্যায় ভার প্রদান করবো। পাশাপাশি ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ও ঘটনা নিয়ে পুলিশ সুপারকে প্রতিবেদন দাখিল করবো।