রাঙামাটি শহরে কাপ্তাই হ্রদের পানি সরবরাহ প্রকল্পের চলমান কাজের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে রাঙামাটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে অভিযান পরিচালনা করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের রাঙামাটির উপ-পরিচালক মোঃ জাহিদ কালামের নেতৃত্বে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী পরাগ বড়ুয়া, সহকারী প্রকৌশলী সুব্রত বুড়য়াসহ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক আহামদ ফরহাদ হোসেন, উপ সহকারী পরিচালক সারোয়ার হোসেনসহ অন্যরা।
গত ১৮ আগস্ট দৈনিক আজকের পত্রিকায় কাপ্তাই হ্রদের পানি সরবরাহ প্রকল্প: কার্যাদেশ না মেনে নিম্নমানের কাজ শিরোনামে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় রাঙামাটি পৌর শহরে কাপ্তাই হ্রদের পানি সরবরাহ প্রকল্পের ৫টি প্যাকেজে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্পে কার্যাদেশ না মেনে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এ টাকা পুরোটা অর্থায়ন করছে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক।
দুদকের রাঙামাটির উপ-পরিচালক মো. জাহিদ কালাম বলেন, আমাদের কাছে এ প্রকল্প নিয়ে কিছু অভিযোগ ছিল। আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর আমরা বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। আমি নিজে এ অভিযানে গিয়ে নথিপত্র সংগ্রহ করেছি। পত্রিকা প্রতিবেদন প্রকাশের প্রতিবেদনের উপর প্রকৌশলী পরাগ বড়ুয়া কাগজপত্র গুছিয়ে রেখেছেন মনে হয়েছে আমার কাছে। প্রকল্পের নথিপত্র সংগ্রহ করে আমরা সরেজমিন কাজের স্থান পরিদর্শন করেছি। তদন্ত চলছে। অসংগতি পেলে আমরা মামলা পর্যায়ে যাব। সেভাবে এগুচ্ছি। অভিযানের সময় দুদক কর্মকর্তারা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সময়মতো অফিসে উপস্থিতি বইয়ের গরমিল খুজে পান। এছাড়া, অভিযোগ পাওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা ছাড়াও চলমান নিম্নমানের প্রকল্প কাজের স্থান পরিদর্শন করেন দুদক কর্মকর্তারা।
এবিষয়ে জানতে চেয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর নির্বাহী প্রকৌশলী পরাগ বড়ুয়াকে বার বার তার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।