পার্বত্য চট্টগ্রামে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ইক্ষু, সাথী ফসল, গুড় উৎপাদনের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ জুন) সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে ও উদ্যোগে বোর্ডের কর্ণফুলী সম্মেলন কক্ষে এ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সুগারক্রপ চাষাবাদ জোরদারকরণ প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও প্রকল্প পরিচালক হারুন-অর-রশীদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম চৌধুরী (অতিরিক্ত সচিব)। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য পরিকল্পনা মোঃ জসীম উদ্দিন (উপ-সচিব), রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াদ হোসন রুবেল, রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক তপন কুমার পাল সহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, উন্নয়ন কর্মীবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষকদের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও গতিশীল করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চার বছর মেয়াদী পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সুগারক্রপ চাষাবাদ জোরদারকরণ প্রকল্প” নামে একটি প্রকল্প বাস্তবানের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। ইক্ষু, সাথী ফসল ও স্বাস্থ্য সম্মত হাইড্রোজমুক্ত গুড় উৎপাদনের জন্য ৬,২৪০ জন চাষীককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় পতিত ও আবাদযোগ্য অনাবাদী জমিকে কাজে লাগিয়ে অত্র অঞ্চলে দারিদ্রতা দুরীকরণ সৃষ্টির চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পার্বত্য এলাকায় পার্বত্য এলাকায় সুগারগ্রুপের ফলন ১৫% বৃদ্ধি করা বোর্ডের লক্ষ্য।
সভায় বক্তারা আরো বলেন,তামাক কোম্পানীগুলো এ অঞ্চলের গরীব ও দরিদ্র কৃষকদের মাঝে কিছু নগদ অর্থ ও উপকরণ বিতরন করে তাদেরকে তামাক চাষের প্রতি আকৃষ্ট করেছে। তামাক চাষ মাটির উর্বরতা শক্তি হ্রাস করা ছাড়াও পরিবেশ, বন ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই বক্তরা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে ইক্ষু একমাত্র লাভজনক ফসল যা তামাক চাষতে সাফল্যজনক ভাবে প্রতিস্থাপন করতে পারে। কৃষকদের ইক্ষু, সাথী ফসলের দিকে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সেমিনারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কার্বারী, মেম্বার, কৃষক প্রতিনিধি, ও প্রিন্ট ও ইলেক্টিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।