উচ্চ মূল্যের মসলা-গোল মরিচের নার্সারী ও প্রেসেসিং স্থাপন প্রকল্পের আওতায় খাগড়াছড়ির রামগড়ে গোল মরিচ উৎপাদনকারীদের সাথে নার্সারী ও প্রসেসিং সেন্টার মালিকদের বাজার সংযোগ দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ হয়েছে।
সোমবার (১লা সেপ্টেম্বর) সকল পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) সহযোগীতায় ও অর্গানাইজেশন ফর দ্যা পুওর কমিউনিটি এ্যাডভান্সমেন্ট (অপকা)র বাস্তবায়নে রামগড় পাহাড়ঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের হল রুমে দিনব্যাপি এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অপকা’র নির্বাহী পরিচালক মো: আলমগীর হোসেন এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন, রামগড় হটিকালচার সেন্টার উপ-পরিচালক শাহ মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। অপকার প্রজেক্ট ম্যানেজার মো: জাহিদুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন মিয়া, রামগড় হটিকালচার সেন্টার উপসহকারী উদ্যান কর্মকর্তা ভুশন মহাজন।
অপকা’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘বিশ্ব বাজারে গোলমরিচের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া দেশের গোলমরিচের বাজার আমদানির ওপর নির্ভরশীল। একজন কৃষক ২৫ শতাংশ জমিতে গোল মরিচ চাষ করে যা আয় করবে, তার দ্বিগুণ আয় করা সম্ভব গাছের কাটিং চারা বিক্রি করে।’
রামগড় হটিকালচার সেন্টার উপ-পরিচালক শাহ মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ‘পাহাড়ি অঞ্চলে কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য গোল মরিচ এবং সাথি ফসল হিসেবে আদা-হলুদ-সবজি ও মসলাজতীয় ফসল চাষ অত্যাধিক লাভজনক। সরকার কৃষকদের প্রশিক্ষণ, বীজ সরবরাহ, বিনিয়োগসহ সব সহায়তা দিচ্ছে। রামগড় ও পাশ্ববর্তী এলাকায় গোলমরিচের চাষাবাদ শুরু হয়েছে, কৃষি বিভাগ কাটিং সংগ্রহ করে কৃষকদের গোল মরিচ চাষের জন্য প্রশিক্ষণ ও সহায়তা করবে।