রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা বলেছেন, রোগীর শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন না করে রেফার করা উচিত নয়। তিনি বলেন, মেডিকেলের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশ সম্পর্কে সবার মধ্যে সচেতনতা থাকা প্রয়োজন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর সহায়তায় সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), রাঙামাটির আয়োজনে এ অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কমিউনিটি মনিটরিং ও কমিউনিটি অ্যাকশন সভা থেকে প্রাপ্ত মতামতসমূহ উপস্থাপন করা হয়।
সভায় জানানো হয়, ১০০ শয্যার বিপরীতে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০০ রোগী ভর্তি থাকেন। উপজেলা পর্যায়সহ বিভিন্ন স্থান থেকেও রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন।
আলোচনায় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এজেন্টদের হয়রানি বন্ধ, নিম্নমানের ডায়াগনস্টিক সেন্টার চিহ্নিতকরণ ও ব্যবস্থা গ্রহণ, হাসপাতালের হেল্প ডেস্ক চালু, চিকিৎসকদের ডিউটি শিডিউল মেনে চলা, খাবার পরিবেশনে স্বাস্থ্যবিধি মানা, টেস্ট রিপোর্টে রোগীর নামের ভুল সংশোধন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, পর্যাপ্ত হুইলচেয়ার সরবরাহ, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক পদায়ন, হাসপাতালের প্রবেশমুখে পাবলিক টয়লেট স্থাপন, স্কুল হেলথ প্রোগ্রাম চালু, টাইফয়েড টিকা রেজিস্ট্রেশন, জনবল সংকট নিরসন ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় বক্তব্য দেন সনাকের স্বাস্থ্য উপকমিটির আহ্বায়ক নিরূপা দেওয়ান, সনাক সদস্য রনজিত নাথ, মোহাম্মদ আলী, এসিজি স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী রিচি হাওলাদার, এসিজি সদস্য তানি বড়ুয়া ও শাহরিয়ার ইমন রাসেল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টিআইবির এরিয়া কো-অর্ডিনেটর বেনজিন চাকমা।
সভাপতির বক্তব্যে সনাক সভাপতি প্রফেসর বাঞ্ছিতা চাকমা বলেন, সেবার মান উন্নয়নে সভায় আলোচিত বিষয়গুলো সংশ্লিষ্টদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাস্তবায়িত হলে জনগণ আরও উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবে।