বুধবার , ১৬ মার্চ ২০২২ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

তিন পার্বত্য জেলার ১৩০ অবৈধ ইটভাটা ধ্বংসের নির্দেশ

প্রতিবেদক
পাহাড়ের খবর ডেস্ক
মার্চ ১৬, ২০২২ ১:১৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।

পরিবেশ দূষণ কমাতে পার্বত্য তিন জেলার (বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলা) ১৩০টি অবৈধ ইটভাটা ও এর আনুষঙ্গিক স্থাপনাগুলো গুঁড়িয়ে দিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি এসব অবৈধ ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালত ৩ পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকদের (ডিসিদের) নির্দেশ দিয়েছেন। আদেশ বাস্তবায়ন করে এ বিষয়ে ৬ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতেও ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশের ক্ষতি ও দূষণ থেকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা রিট আবেদনের শুনানি করে গত সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি ফাতেমা নজিবের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ সাংবাদিকদের বলেন, ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৩ অনুসারে অবৈধ ইটভাটা পরিচালনার সর্বোচ শাস্তি ২ বছরের কারাদন্ড। তারপরও অবৈধভাবে বিভিন্ন জেলায় ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। এতে পরিবেশ দূষণের সৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য রিট করেছিলাম। হাইকোর্ট ১৪ মার্চ পার্বত্য তিন জেলায় অবৈধভাবে পরিচালিত ১৩০টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া এসব ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

পরে মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৪ ও ১৯ ধারা অনুসারে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি অবৈধ ইটভাটাগুলো ধ্বংস করে ছয় সপ্তাহের মধ্যে তিন জেলার জেলা প্রশাসককে আদালতে প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়েছে।

এর আগে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ওই রিট করে। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। ওই জেলাগুলোতে থাকা সব অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম সাত দিনের মধ্যে বন্ধের ব্যবস্থা নিতে তিন জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এ ছাড়া সেখানকার লাইসেন্সবিহীন সব ইটভাটার তালিকা ছয় সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দাখিল করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।

ওই আদেশ অনুযায়ী ৩ পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকরা অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটার বিষয়ে হাইকোর্টে পৃথক প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাঙামাটিতে ২৫টি, খাগড়াছড়িতে ৩৫টি ও বান্দরবানে ৭০টি অবৈধ ইটভাটা চলছে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ৩ জেলায় মোট ৬৪টি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়ের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত পৃথক ৩টি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে জানান, এই ৩ জেলার বিভিন্ন জায়গায় ১৩০টি অবৈধ ইটভাটা আছে। এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি ১৪ মার্চ আদালতে ওঠে।-আমাদেরসময়

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

%d bloggers like this: