“জলবায়ু অভিযোজনে গ্রামীণ নারী” — এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নানিয়ারচর উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস ২০২৫।
দিবসটি পালন করে আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন, যার সহযোগিতায় ছিল মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এবং Sweden Sverige।
১৫ অক্টোবর বুধবার দিবস টি উপলক্ষে উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের বগাছড়ি প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। যেখানে স্থানীয় নারী কৃষক, কমিউনিটি নেতা, সমাজ প্রতিনিধি ও প্রকল্পের উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নানিয়ারচর উপজেলা কৃষি অফিস উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা উত্তম বিশ্বাস,আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন প্রকল্প সমন্বয়কারী মিতু চাকমা,
আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন প্রকল্প কর্মকর্তা সুবিন্দু চাকমা।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয় গ্রামীণ নারীদের জীবনে। তারা পরিবার, কৃষিকাজ, খাদ্যনিরাপত্তা ও পানি ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও বর্তমানে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। তাই গ্রামীণ নারীদের অভিযোজন ক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ প্রদান এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা জলবায়ু সহনশীল সমাজ গঠনের অন্যতম চাবিকাঠি।
বক্তারা আরও বলেন, নারী যদি সচেতন ও সক্ষম হয়, তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় পুরো পরিবার ও সমাজ উপকৃত হয়। এজন্য নারীকে নেতৃত্বের জায়গায় আনতে হবে এবং স্থানীয় পর্যায়ে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সম্পৃক্ত করতে হবে।
দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন গ্রামীণ নারী সমাজের সদস্যরা।
র্যালিটি শেষে স্থানীয় কৃষাণীদের ফসলি জমিন পরিদর্শন করা হয় এবং মাঠ পর্যায়ে তাদের চাষাবাদ, ফসল সংরক্ষণ ও জীবিকা উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়।অংশগ্রহণকারীদের মাঝে জলবায়ু সহনশীল কৃষি পদ্ধতি, নারীর ক্ষমতায়ন ও পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর ভূমিকা বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।