রবিবার , ২৯ জুন ২০২৫ | ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন– নিয়োগদাতা কর্তৃপক্ষ

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি
জুন ২৯, ২০২৫ ১০:২৮ অপরাহ্ণ

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন দাবি করে নিয়োগদাতা কর্তৃপক্ষ বলেছে, কোনো তথ্য-প্রমাণাদি ছাড়াই এ ধরনের বানোয়াট, মনগড়া অভিযোগ তোলা হচ্ছে। যারা এ ধরনের অসত্য অভিযোগ তুলছে তারা প্রকৃতপক্ষে জনগণের মঙ্গল চায় না।

রোববার (২৯ জুন) বিকাল ৪টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অ্যানেক্স ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থী এবং গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নিয়োগ সংক্রান্ত এক পর্যালোচনায় এসব কথা বলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। এ সময় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মো. রিজাউল করিম, সদস্য দেব প্রসাদ দেওয়ান, প্রতুল দেওয়ান, হাবিব আজম, নাইপ্রু মেরী, সাগরিকা রোয়াজা, সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসাসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, সম্প্রতি ৫টি ক্যাটাগরিতে ৫৮টি শূন্যপদে কর্মচারী নিয়োগ দেয় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এসব পদের মধ্যে রয়েছে কোল্ড চেইন টেকনিশিয়ান ১টি, স্টোর কিপার ৪টি, পরিসংখ্যানবিদ ২টি, স্বাস্থ্য সহকারী ৩৬টি, অফিস সহকারী ১২টি ও ড্রাইভার ৩টি। ২০ জুন শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় এ নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা। এতে অংশ নিয়েছেন ৪ হাজার ৪২৮ পরীক্ষার্থী।

পরীক্ষার আগের দিন ১৯ জুন জেলা পরিষদ একটি ‘সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি’ প্রকাশ করে। এতে উল্লেখ ছিল রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারী নিয়োগের কার্যক্রম চলমান এবং এ নিয়োগ সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও দুর্নীতিমুক্তভাবে মেধা ও দক্ষতার ভিত্তিতে সম্পন্ন করা হবে। কাজেই নিয়োগপ্রাপ্তির উদ্দেশ্যে কোনো অসাধু বা প্রতারক চক্রের কোনো প্রলোভনে প্রভাবিত না হয়ে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন না করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। কেউ এ রকম অবৈধ কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

লিখিত পরীক্ষার দিন ২০ জুন প্রকাশিত আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২১ জুন ফলাফল প্রকাশ করা হবে। কিন্তু এদিন আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণে ২১ জুন লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ সম্ভব হচ্ছে না। তবে ৩০ জুনের মধ্যে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে জেলা পরিষদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। জেলা পরিষদের এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি পরীক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহলে নানা সন্দেহ ও প্রশ্ন দেখা দেয়। এর মধ্যেই ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষায় ডেকে এদিনই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। এ নিয়োগ নিয়েই আর্থিক লেনদেন, আত্মীয়করণ ও স্বজনপ্রীতিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং বিভিন্ন মহলে এসব অভিযোগ ওঠে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ নিয়োগ বাতিলের দাবিও তোলে।

অভিযোগে বলা হয়, পরীক্ষায় অংশ নেয়নি এমন ব্যক্তিও উত্তীর্ণ হয়েছে। ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে দেখা গেছে, রোল নং-৬৭ অনুপস্থিত থেকেও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। যিনি এ পোস্টটি দিয়েছেন, তিনি তার রোল নং-৬৮ বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও অসীম তঞ্চঙ্গ্যা (রোল নং-২৪৪২) নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী যুবলীগের বিলাইছড়ি উপজেলার এক সদস্য নিয়োগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে, যদিও তিনি যুবলীগের সদস্য নন বলে দাবি করেন অসীম। পরীক্ষা খুব ভালো হয়েছে, কিন্তু উত্তীর্ণের তালিকায় নেই- এমন অভিযোগও করেন অনেকে।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার বলেন, পরীক্ষা সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, দুর্নীতি মুক্ত ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে আমি নিজেই খুব কষ্ট করেছি। এজন্য যা করণীয় এতে সব পদক্ষেপ ছিল। আমি কারও কাছ থেকে এক কাপ চা খাইনি। কেউ আমাকে কোনো টাকা দিয়েছেন বলে প্রমাণ দিতে পারলে আমি পদত্যাগ করব। জেলা পরিষদের অতীতের দুর্নাম কাটাতে নিয়োগ সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।

জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মো. রিজাউল করিম বলেন, কোটার ভিত্তিতেই নিরপেক্ষভাবে নিয়োগ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে উপজাতি, অ-উপজাতি কোটা আছে। উপজাতির মধ্যে আবার চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ইত্যাদি কোটা আছে। তবে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলকভাবে সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতেই নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। কেউ পরীক্ষা খাতা দেখতে চাইলে দেখানোর ব্যবস্থা করা হবে। তবে এ ব্যপারে আমাদেরকে মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ নিতে হবে। খাতা চ্যালেঞ্জ করতে হলে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ বড় অঙ্কের টাকা জামানত হিসাবে দেওয়া লাগবে। সফল হলে সরকার তার দিগুন অর্থ ফেরত দেবে তাকে। আর ব্যর্থ হলে জামানতের অর্থ বাজেয়াপ্তসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা বলেন, নিয়োগটি সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত  ও বিতর্কহীনভাবে সম্পন্ন করতে যাতে কেউ তদবির করতে না পারে সেজন্য ফলাফল দেরিতে প্রকাশ করা হয়েছে। ফেসবুকে অনেকে অসত্য ও তথ্য-প্রমাণ ছাড়া নিয়োগের বিরুদ্ধে লিখেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইসিটি মামলা দেওয়ার চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু তারা এতে অত্যন্ত হয়রানির শিকার হতো। তাই আমরা আর মামলা করিনি।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত
error: Content is protected !!
%d bloggers like this: