নারীদের ঘরে থাকলে হবে না। তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হবার পাশাপাশি কারিগরী দক্ষকতায়ও দক্ষ হতে হবে। পাহাড়ের নারীরা এগিয়ে গেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এজন্য বর্তমান সরকারী নারী শিক্ষা ও কারিগরী দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে।
বুধবার সকালে মোনঘর ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ভবনে নারীদের কারিগরী ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংসুই প্রু আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী শিক্ষা ও কারিগরী দক্ষতা উন্নয়নে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে। এ কাজের উদ্দেশ্য নারীদের কারিগরী দক্ষতায় দক্ষ করে তোলা। এতে করে নারীরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে। পাশাপাশি যেকোন প্রতিষ্ঠানে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে।
মোনঘর পরিচালনা কমিটির সভাপতি শ্রদ্ধালংকার মহাস্থবীরের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি কর্মকর্তা ঝুমা দেওয়ান, মোনঘর নির্বাহী পরিচালক অশোক কুমার চাকমা।
এসময় আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েটস এর নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমা, মোনঘর ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যক্ষ চিত্ত রঞ্জন চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রশিক্ষণে সেলাই, খাদ্য প্রক্রিয়া জাতকরণ এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর ৭০ জন নারী এ প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছে।
এর আগে সকাল ৯ টায় মোনঘর আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে ডিগনিটি কীট বিতরণ করা হয়। এ কার্যক্রমেরও উদ্বোধন করেন অংসুই প্রু চৌধুরী।
বাংলাদেশ, কানাডা রাঙামাটি জেলা পরিষদ এবং ইউএনডিপির শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে মেয়েশিশু ও নারীর ক্ষমতায় কম্পোনেন্ট এসআইডি সিএইচটি প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন এবং রাঙামাটি জেলায় ১০০ টি স্কুলের ছাত্রীদের ডিগনিটি কীট বিতরণ করা হবে।