রবিবার , ১২ জুন ২০২২ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

১৩ জুন কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধ্বসের ৫ বছর, এখনো ঝুঁকিতে বসবাস করছে অনেক পরিবার 

প্রতিবেদক
ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই, রাঙামাটি
জুন ১২, ২০২২ ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ

 

২০১৭ সালের ১৩ জুন। রাঙামাটির কাপ্তাইবাসীর জন্য দিনটি ছিল এক বিভীষিকাময় দিন। এর আগের দিন(১২ জুন) মধ্যরাত হতে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। টানা বর্ষনে তখন ঘরবন্দি প্রায়ই মানুষ। অতিবৃষ্টিতে সেইদিন কাপ্তাইয়ের সকল সড়ক পথ যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। অজানা আশঙ্খা ভর করেছিল জনমনে।

১৩ জুন সকালে কাপ্তাইবাসী শুনলো ভয়াবহ পাহাড় ধ্বসের কথা। বিভিন্ন প্রান্ত হতে আসতে লাগলো মৃত্যুর কথা। সেইদিন সকালে প্রথম দূর্সংবাদটি আসে ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের মিতিঙ্গাছড়ি হতে। ভয়াবহ পাহাড় ধ্বসে সেইদিন ঐ এলাকার বসবাসরত নুরনবী সহ তার ছেলের গর্ভবতী স্ত্রী এবং তার শিশু পুত্র ঘটনাস্থলে পাহাড়ধ্বসে মারা যায়। ঘটনার পর পরই ফায়ার সার্ভিস সহ ঐ এলাকায় ছুটে যান তদান্তিন কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম এবং ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী। এরপর একে একে ওয়াগ্গার মুরালীপাড়া, রাইখালির কারিগর পাড়া এবং চিৎমরম হতে পাহাড়ধ্বস ও মৃত্যুর খবর আসতে থাকে। সেইদিনের পাহাড় ধ্বসে কাপ্তাইয়ে প্রান হারায় সর্বমোট ১৮ জন। পাহাড়ী ঢ়লে তলিয়ে যায় শত শত একর সবজি ক্ষেত, বিনষ্ট হয় বহু ঘরবাড়ী।

এখনোও সেই দিনের কথা কাপ্তাইয়ে জনগন মনে করে শিহরিত হয়ে উঠে।

কাপ্তাইয়ের পাহাড় ধ্বসের ৫ বছর পার হলেও এখনো কাপ্তাইয়ের অনেক জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে শত শত পরিবার। বিশেষ করে ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়নের ঢাকাইয়া কলোনিতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে শত শত পরিবার। এইছাড়া ওয়াগ্গা ইউনিয়নের মুরালীপাড়া, রাইখালী ইউনিয়নের কারিগর পাড়া, তিনছড়ি, মিতিঙ্গাছড়ি সহ দূর্গম অনেক জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে অনেক পরিবার। বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টি হলে এদেরকে প্রশাসনের পক্ষ হতে আশ্রয় কেন্দ্র নিয়ে আসা হলেও এই সব পরিবারগুলোকে স্থায়ীভাবে পূর্নবাসন করা যায় নাই।

এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান জানান, উপজেলা প্রশাসন সবসময় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সর্তক করে আসছে। অতিবৃষ্টি হলে আমরা এদেরকে নিকটস্থ স্কুলে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবার জন্য অনুরোধ করছি, যাতে প্রানহানী না ঘটে। তিনি জানান, আমরা সবসময় কাপ্তাই, রাইখালী এবং ওয়াগ্গা ইউনিয়নে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে আসছি যাতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা না থাকে।

৪ নং কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ জানান, প্রতিবছর বর্ষা আসলে আমরা অজানা আতংকে থাকি, বিশেষ করে তাঁর ইউনিয়নের ঢাকাইয়া কলোনিতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে শত শত পরিবার। তিনি জানান, অতিবৃষ্টি হলে আমরা তাদেরকে কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে এনে আশ্রয় দিই এবং তাদের খাবার পরিবেশন করে থাকি। কিন্ত এটা কোন স্থায়ী সমাধান না, তাই তিনি পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের স্থায়ীভাবে কোন নিরাপদ জায়গায় পূর্নবাসন করার জন্য সরকারের নিকট জোড় দাবী জানান।

কাপ্তাই জেলা নৌ স্কাউটস এর জেলা স্কাউট লিডার এম জাহাঙ্গীর আলম জানান, সেইদিন ২০১৭ সালের ১২ জুন দুপুর ২ টার সময় যখন কাপ্তাই – চট্টগ্রাম সড়কের শিলছড়ি এলাকায় পাহাড় ধ্বসে সড়ক যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, সেই সময় সড়কের উভয় পাশে শত শত যান আটকে পড়ে, আমরা নৌ স্কাউটস এর ৪০ জন সদস্য নিয়ে সড়ক চলাচল উপযোগী করি। এইছাড়া পাহাড় ধ্বসে নিহতের লাশ উদ্ধারে সহায়তা করি।

 

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত
%d bloggers like this: