দেশপ্রেম বীরত্ব সাহসিকতা ক্যাটাগরিতে জাতীয় সম্মাননা পেয়েছেন রাঙামাটির সন্তান মুন্না তালুকদার। রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর ) সকালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রানালয়ের আয়োজনে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল(এমপি)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভাষণকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যুব সমাজ আমাদের বড় একটা শক্তি।এ যুব সমাজই পারবে বাংলাদেশটাকে উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে৷ আমাদের তরুণ সমাজই দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। প্রত্যেক মানুষ যেন সুন্দর জীবন পায় আমরা সে পথে এগিয়ে যাব।
এছাড়াও অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (এমপি),যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন । সারা বাংলাদেশ হতে মোট ১২ জনকে এ-ই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
জাতীয় পর্যায়ে ‘দেশপ্রেম, বীরত্ব ও সাহসীকতা’ ক্যাটাগরিতে সারা বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন এন.কে.এম মুন্না তালুকদার। তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ❝স্বপ্নবুনন❞র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
পুরস্কার পেয়ে প্রতিক্রিয়ায় মুন্না তালুকদার বলেন,স্বেচ্ছাসেবী ও সচেতনতামূলক সংগঠন ‘স্বপ্নবুনন’র মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। দেশের সংকটময় মুহুর্তে,পাহাড় ধস,কভিড মহামারী সংকটের শুরু লকডাউনে বীরত্ব ও সাহসিকতার সহিত জনসাধারণের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। মহামারীতে সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনায় অন্যরকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয় আমাদের। তিনি বলেন,সকল বাধা বিপত্তি প্রতিকূলতার মধ্যেও দায়িত্ববোধ ও মানুষের সেবায় মানবিক বিবেচনায় কর্তব্যবোধে কভিডের মরণভয়কে ছাপিয়ে সেবায় মগ্ন ছিলাম। এছাড়াও পাহাড়ের কারিগরি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, নারী ও শিশু উন্নয়ন সহ বিবিধ খাতে কাজ করার চেষ্টা করছি আপ্রাণ।এই সম্মাননা ও কৃতিত্ব সকলের যারা আমাদের প্রতিকূলতায় পাশে ছিলেন। তিনি এই অর্জন তাদের জন্য উৎসর্গ করেছেন। তিনি আরো বলেন ‘কাজের স্বীকৃতি সবসময় কাজের উদ্যম বাড়িয়ে দেয়,সেই স্বীকৃতির যখন দেশ সেবার জন্য হয় তখন দ্বিগুন উদ্যমে উদ্ভাসিত,অনুপ্রানিত হই’।
এছাড়াও গতবারে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’ এর অধীনে আন্তজার্তিক মঞ্চে করোনাকালীন আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করায় ‘সেরা সাহসিকতা ’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের মধ্যে তৃতীয় স্থান লাভ করে “শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড”-২০২০ অর্জন করেন মুন্না তালুকদার।