খাগড়াছড়ি জেলার সকল উপজেলার মধ্যে থেকে শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ কাশেম। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২২ এর জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে শিক্ষা অধিদফতর। সেখানে জেলায় শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন হাজী মোহাম্মদ কাশেম।
সম্প্রতি জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বাছাই কমিটির সভাপতি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বাছাই কমিটির সদস্য সচিব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ২১টি ক্যাটাগরির মধ্যে জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়।
নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ কাশেম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম। আন্তরিক ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমাকে জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করায়। এছাড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
তিনি বলেন, দীঘিনালা বাসীর ভালবাসা আর সহযোগিতার ফল আমার এই অর্জন। আমরা সামনের দিকে আরও এগিয়ে যেতে চাই। দীঘিনালা উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়তে চাই।
তিনি আরও বলেন, দীঘিনালায় এ পর্যন্ত যতগুলো বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত করা হয়েছে সব আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই করা। এছাড়াও দীঘিনালা কলেজকে সরকারিকরণ, কুজেন্দ্র মল্লিকা ও বাবুছড়া কলেজ স্থাপন, সরকারি কলেজে বেশ কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ, দীঘিনালা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অত্যাধুনিক মানের ভবন নির্মাণ (চলমান) আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই হয়েছে৷ এছাড়াও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দৃষ্টিনন্দন একাডেমিক ভবন, ওয়াসব্লক ও সীমানা প্রাচীর আমরাই করে দিয়েছি।
দীঘিনালা উপজেলার শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ ও ঝরে পড়া রোধকল্পে বিদ্যালয় পরিদর্শন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এবং অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময়, বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় বেঞ্চ সরবরাহ, বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা এবং সীমানা প্রাচীর নির্মাণসহ নানাবিধ প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং তা’ একের পর এক বাস্তবায়ন করে চলেছেন হাজী মোহাম্মদ কাশেম।
ফলে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমে আসার পাশাপাশি শিক্ষাথীরা বিদ্যালয়মুখি হয়েছে। এছাড়াও নানাবিধ সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অসামান্য অবদান রাখায় হাজী মোহাম্মদ কাশেমকে এই পদকে ভূষিত করা হয়।