খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমান উল্লাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান ও নামাজে জানাজা শেষে বৃহস্পতিবার সকালে দাফন করা হয়েছে।
গত ২৬ নভেম্বর শনিবার রাত সিলেট কদমতলী রেলস্টেশনে অজ্ঞাত পরিচয়ে উদ্ধার হওয়া বয়োঃবৃদ্ধ মরদেহটি পোস্ট মর্টেম শেষে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সিআইডি’র সহায়তায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমান উল্লাহ’র (৯০) পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ।
পরে গত ৩০ নভেম্বর পুলিশি কার্যক্রম শেষে পরিবার তাঁর লাশ গ্রহণ করেন।
নিহতের নাতি মো. ইমরান হাবিব জানিয়েছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমান উল্লাহ’র জন্মস্থান সিলেট জেলার দোয়ারা বাজার থানার ইদুকোনা গ্রামের মৃতু ফজু মিয়ার ছেলে। তিনি ৫ নম্বর সেক্টরের অধীনে সিলেটের ৫ নম্বর সেক্টরের অধীনে সিলেটের বাসতলা, নাসিম পুর, দৌড়া বাজার, কেবলাই ও কেংড়া টিলা এলাকায় যু্দ্ধ করেছিলেন।
পরবর্তীতে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার ১ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মুসলিম পাড়ায় স্থায়ী বসবাস করেন।
গত মাসখানেক আগে মো. আমান উল্লাহ তাঁর জন্মভূমিতে বেড়াতে গিয়ে ১৫ দিন আগে নিরুদ্দেশ হয়! পরে ২৬ নভেম্বর সিলেট রেলওয়ে থানা পুলিশ রেলস্টেশন থেকে মরদেহ উদ্ধার করে এবং ২৯ নভেম্বর সিআইডি’র সহায়তায় ফিঙ্গারপ্রিন্টে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার খবরে আমরা লাশ শনাক্ত করে নিয়ে আসি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে,১মেয়ে নাতি-নাতনীসহ বহুআত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন।
১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও জাতীয় পতাকা জড়িয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমান উল্লাহকে গার্ড অব অনারে সন্মানপ্রর্দশন করেন। এ সময় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) রক্তিম চৌধুরী, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ও.সি) মো. শাহনূর আলম, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। পরে বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।