রাঙামাটি পার্বত্য জেলার লংগদু উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি নারী সদস্য ও মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত মমতাজ বেগমের অত্যাচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগি পরিবার আবদুল মোতালেব ও মোঃ জহিরুল ইসলাম।
বুধবার সকালে রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে জমিজামা সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ পাঠ করে ভুক্তভোগি সেলিনা আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ এনে সেলিনা বলেন, মমতাজ বেগম বগাচতর ইউনিয়নে বেশ কিছু পরিবারকে জমি জামা সংক্রান্ত বিষয়ে ফকির বানিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে আমার পরিবার অন্যতম। যেমন বগাচতর ৯ওয়ার্ড ১১নং পেটান্যামা ছড়া মৌজার হোল্ডিং নং ২০,২২/৫২৮ জমির পরিমান ৩ একর ৯০ শতাংশ ভুয়া বিবিধ কাগজ করে যার বলে কিছু সংখ্যক অসৎ লোকদের নিয়ে জরব করার চেষ্টা করে। সেলিনা আরো বলেন, জমির উপর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বে ও জমি দখলের চেষ্টা এবং আমার মা ও সন্তানদের ঘরে ঢুকে মারধর করে এই মহিলা।
আমার স্বামীকে দোকানদারি করতে দিচ্ছে না। আমার রেকর্ডীয় জমি ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ভোগ দখলে নিতে চায় মমতাজ বেগম। মমতাজ বেগম ভুয়া বিবিধ হোল্ডিং নং ব্যবহার করে- ৪৪০ যাহা লংগদু ভূমি অফিস কর্তৃক ভুয়া প্রমানিত হয়। ৮০-৮১ হোল্ডিং নং ২০,২২/৫২৮ এর চৌহদি বিবিধ হোল্ডিং ৪৪০ নিয়ে আসে। যার কারনে মমতাজ বেগমের সাথে আমার পরিবারের মামলা হয়। আইনানুগ ভাবে মমতাজ বেগমের ভুয়া বিবিধ এর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি দাবি জানাই।
আবদুল মোতালেব সংবাদ সংম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, মমতাজ বেগম মেম্বার দীর্ঘ ২০০৭ সাল থেকে আমার ২৩ নং বগাচতর মৌজার হোল্ডিং নং ৩১৮,জমির পরিমান প্রায় ০.৫০শতক। জবর দখল করে মমতাজ বেগম। পরে স্থানীয় ভাবে ও উপজেলা পর্যায়ে সালিশী বৈঠক হয়। কিন্তু মমতাজ বেগম তা মানে না। পরে ২০০৭ সালে এসে আমি কোর্টে স্মরণাপন্ন হয়। যুগ্ন জজ কোর্টে আমি রায় পাই। মমতাজ বেগম ওই মামলা ১১৫-১৫ এর উপর আপীল করে। ২০২২ ফেব্রুয়ারি মাসে আপীলেও আমি রায় পাই। রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপীল করে মমতাজ বেগম। মমতাজ বেগমের মামলার ভারে এখন আমি দিশেহারা। মমতাজ বেগম আমার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দিয়েছে। তাই এখন আমি অসহায় ও নিঃস্বয় হয়ে এলাকা ছাড়া। আমি গরিব মানুষ আমার দ্বারা হাই কোর্টে গিয়ে মামলা পরিচালনা করা সম্ভব না তাই সরকারের কাছে আমার বিনীত প্রার্থনা আমার প্রতি বিবেচনা করা হউক।
এ ব্যাপারে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে গাচতর ইউপি সাবেক মহিলা মেম্বার মমতাজ বেগম বলেন, আমি আপনরা কথা বুঝতে পারছিনা। এখানে বৃষ্টি বাদল হচ্ছে। দ্বিতীয় বার ফোন দেওয়া হলে সে ফোন কেটে দেন।