বাংলা গানের চর্চার পাশাপাশি পাহাড়ে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে আরোও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেবার লক্ষ্যে এবং তাদের থেকে উদীয়মান প্রতিভাকে তুলে আনার লক্ষ্যে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে গত ৩ জুন উদ্বোধন করা হলো কাপ্তাই সঙ্গীত প্রতিভা অন্বেষণ ২০২৩।
তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার (৫ জুলাই) বেলা ৩ টা হতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হলো কাপ্তাই সঙ্গীত প্রতিভার চতুর্থ রাউন্ড।
এতে তৃতীয় রাউন্ডে বিজয়ী ২০ জন বাংলা গানের শিল্পী গাইলো লোকগীতি এবং মারমা, তনচংগ্যা, চাকমা, পাংখোয়া, বম, লুসাই ও খিয়াং ভাষার শিল্পীরা গাইলো তাদের স্ব- স্ব ভাষার গান। এছাড়া প্রতিযোগিতার আগে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা মনোমুগ্ধকর একক, দ্বৈত ও সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন।
এর আগে এদিন বিকেলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে চতুর্থ রাউন্ড এর উদ্বোধন করেন কাপ্তাই ওয়াগ্গাছড়া ৪১ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাব্বির আহমেদ এএসসি ।
এসময় তিনি বলেন, বাংলা গানের প্রসারের পাশাপাশি ক্ষুদ নৃ- গোষ্ঠীর সংস্কৃতি প্রচার ও প্রসারে এই আয়োজন অন্যন্য ভূমিকা পালন করবে বলে আমি আশা করছি।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি রুমন দে এর সভাপতিত্বে সঙ্গীত প্রতিভা অন্বেষণ এর সদস্য সচিব ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির যুগ্ম সম্পাদক মংসুইপ্রু মারমার সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সীমান্ত পরিবার কল্যান সংস্থা ( সীপকস) কাপ্তাই উপ শাখার সাধারণ সম্পাদিকা মৌটুসী খন্দকার, কাপ্তাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মারজান হোসাইন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সহ সভাপতি ও সঙ্গীত প্রতিভা অন্বেষণ এর আহবায়ক ডা: প্রবীর খিয়াং।
লোকগানে বিচারক এর দায়িত্ব পালন করেন বেতার ও টিভি শিল্পী সুপর্না রায় চৌধুরী।