নিরাপত্তা বাহিনীর অস্থায়ী বেস ক্যাম্প স্থাপন’কে কেন্দ্র করে প্রোপাগান্ডা-গুজব তথ্য ছড়িয়ে ফটিকছড়ির সীমান্তে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির বর্মাছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা। আগামী ২৯-৩০ অক্টোবর। সেই এলাকায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর লোকজন জড়ো করে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির আয়োজন করছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। তবে যেকোনো ধরনের রাষ্ট্র বিরোধী কার্যক্রম প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
গণমাধ্যম মাধ্যমে জানাযায়, গত মাসের ২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ির গুইমারা রামসু বাজার এলাকায় ইউপিডিএফ সশস্ত্র সদস্যদের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের গুলিতে তিন জন পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর লোক নিহত হয়। এই ঘটনার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অপারেশন উত্তোরণের ধারাবাহিকতায় পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম যে সকল এলাকায় সেনাবাহিনীর ক্যাম্প নাই। সে সকল এলাকায় দীর্ঘ মেয়াদী অভিযানের পরিকল্পনা করার লক্ষে অস্থায়ী বেস ক্যাম্প করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাস দমন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধিতে সহায়তার অংশে অপারেশন উত্তোরণের ধারাবাহিকতায় ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দমনে লক্ষ্যে নিয়মিত নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম চলমান। এদিকে অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায় যে, বিগত ২৮ সেপ্টেম্বর ইউপিডিএফ এর সশস্ত্র ক্যাডারের সদস্যরা খাগড়াছড়ির দুর্গম বর্মাছড়ি এলাকার মধ্যম বর্মাছড়ি বিভিন্ন পাড়া থেকে এসে রামসু বাজার এলাকায় সেনাবাহিনী এবং সাধারণ জনগণের উপর স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দ্বারা গুলি চালায় লক্ষ্মীছড়ির তন্দ্রপাডা, মুক্তপাড়া, মধ্যম বর্মাছড়ি ইউপিডিএফ সদস্য’রা।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পার্বত্য অঞ্চলের অন্যান্য এলাকার ন্যায় খাগড়াছড়ির বর্মাছড়ি এলাকায় গত ১৮ অক্টোবর থেকে সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা শুরু করে। ক্যাম্প থেকে দূরবর্তী স্থানে অস্থায়ী পেট্রোল বেস স্থাপন করে বর্মাছড়ি এলাকায় পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফের সশস্ত্র দলসমূহকে নির্মূল করার জন্য প্রয়োজনীয় আভিযানিক কার্যক্রম শুরু করে।
বর্মাছড়িতে সেনা অভিযান চলাকালে সেনা টহল দল একটি খালি জঙ্গলকীর্ণ এলাকায় অস্থায়ী পেট্রোল বেস স্থাপন করে, যা কিনা বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের খিরামছড়ি অংশের জমির অন্তর্ভুক্ত এবং বর্মাছড়ি আর্য কল্যাণ বিহার থেকে আধা কিলোমিটার পশ্চিম দিকে অবস্থিত। বর্মাছড়িতে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি এবং অভিযানের কারণে ইউপিডিএফর সশস্ত্র ক্যাডারা পাড়া থেকে দ্রুত সরে গিয়ে দুর্গম কালাপাহাড় নামক আরেকটি পাহাড়ে ঘাটি স্থাপন করে এবং পার্বত্য অঞ্চলের বাহিরে ফটিকছড়ি উপজেলার অংশে দুর্গম অঞ্চলে অবস্থান নেয়।

দীর্ঘ মেয়াদি অভিযানের কারণে খাগড়াছড়ির ফটিকছড়ি, কাউখালি, লক্ষ্মীছড়ি অংশে ইউপিডিএফর চাঁদা আদায় কার্যক্রম এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে বৌদ্ধ ধর্মালম্বী জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে অস্থায়ী সেনা পেট্রোল বেস স্থাপনের বিরুদ্ধে চিরাচরিত কৌশল হিসেবে এলাকার জনগণ, মহিলা এবং শিশুদের জোরপূর্বক জমায়েত করে আন্দোলন শুরু করেছো। যাহা ইতিমধ্যে অন্যান গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনীর যুক্তি এবং ধৈর্যের পরিপেক্ষিত পিছে হাটে।
বনবিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জমিতে অস্থায়ী পেট্রোল বেসের স্থানটি’কে বর্মাছড়ি আর্য কল্যাণ বিহারের অংশ হিসেবে দাবি করে পরপরই একই সাথে তারা দেশ এবং বিদেশ হতে ব্যাপক অনলাইন প্রোপাগান্ডা এবং পার্বত্য অঞ্চলে যেখানে ইউপিডিএফ এর আধিপত্য রয়েছে এমন সব এলাকায় পোস্টার লাগিয়ে পাহাড়ি জনগণকে উত্তেজিত করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করে।
সেই ধারাবাহিকতায় ইউপিডিএফর নেতৃত্বে গত (২৪ অক্টোবর) বর্মাছড়ি অস্থায়ী পেট্রোল বেসের নিকট অন্তত এক হাজার অধিক পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর আনুমানিক ১ হাজার মহিলা, শিশু ও পুরুষদের জমায়েত করে এবং সেনা সদস্যদের সাথে অশ্লীল ও দুর্ব্যবহার করে। তারা বর্মাছড়িতে স্থাপিত অস্থায়ী পেট্রোল বেস আর্য কল্যাণ বিহারের অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করে এবং সেনাবাহিনী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে কিন্তু তাদের দাবির স্বপক্ষে কোন প্রকার প্রমাণাদি উপস্থাপনে ব্যর্থ হয় হয় স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও বিহার কতৃপক্ষ।
এদিকে বিহারে জায়গায় বেস ক্যাম্প স্থাপন নির্মাণের অভিযোগ করলেও গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকাল ৩ টার দিকে ২১ নং খিরাম ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত কুমার দাশ, মানিকছড়ি সহকারী কমিশনার (ভূমি) খাদিজা তাহিরা, ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী, ২ নং ফটিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রাম্যান উষাতন চাকমা। আর্য কল্যান বন বিহার সাধারণ সম্পাদক বাবুল চাকমা। সেনাবাহিনীর মাঠ পর্যায়ের কমান্ডার এবং গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে বিহারের জায়গার দাবির স্বপক্ষের কোন প্রমাণাদি দাখিল করতে পারেনি আর্য কল্যাণ বিহার কমিটি।
এখানে উল্লেখ্য যে, খাগড়াছড়ির বর্মাছড়ি এলাকা’টি একটি পাহাড়ি অধ্যুষিত গহীন আরণ্য নিকটবর্তী স্থানে কোন সেনা ক্যাম্প না থাকার কারণে ইউপিডিএফ দীর্ঘ সময় ধরে সশস্ত্র দলের ক্যাম্পসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে। একই সাথে বর্মাছড়ি এলাকাটি পার্বত্য চট্টগ্রামের সাথে সমতলের যোগসূত্র হবার কারণে দীর্ঘদিন ধরে দেশের অভ্যন্তরে ইউপিডিএফ এর অস্ত্র চোরাচালানের রুট হিসেবেও ব্যবহার হয়ে আসছে।

ভারতে ত্রিপুরা রাজ্যের ধলাই জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ইউপিডিএফ-এর ছয়টি প্রধান ঘাঁটি চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ঘাঁটি হচ্ছে, খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষীছড়ি ও দীঘিনালার সংলগ্ন ভারতীয় এলাকায় রতন নগর ক্যাম্প, দীঘিনালা সীমান্তের কাছাকাছি ধলাই জেলার ভিতরে টুইচামা ক্যাম্প, দীঘিনালা লাগোয়া ধলাই অঞ্চলে নারায়ণপুর ক্যাম্প, দীঘিনালা ও লক্ষীছড়ি সীমান্তসংলগ্ন ধলাই এলাকায় পঞ্চ রতন ক্যাম্প, মহালছড়ি ও দীঘিনালা ঘেঁষা ধলাই জেলার অংশে নারিকেল বাগান ক্যাম্প এবং রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির বাঘাইছড়ি ও দীঘিনালা সীমান্তবর্ত এলাকায় অবস্থিত, ভারতের ভেতরে ফেনী সীমান্তের কাছে পূর্ব সাবরুম ক্যাম্প। এই ঘাঁটিগুলো থেকে চোরাপথে অস্ত্র, প্রশিক্ষিত সদস্য ও লজিস্টিক সহায়তার সবচাইতে বড় রসদ পারাপারের গোপন পথ এই বর্মাছড়ি।ইউপিডিএফ-এর সকল কার্যক্রম এই ঘাঁটি থেকে পরিচালিত হয়।
একটি সূত্রে তথ্য একটি তথ্য উঠে আসছে ইউপিডিএফ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে জানা যায় ইউপিডিএফ (প্রসিত বিকাশ খীসা/মূল) এর সশস্ত্র দলের অর্থ সম্পাদক অর্কিড চাকমা বর্মাছড়ি এলাকার নেতৃত্বপর্যায়ের একজন নেতাকে সেনা পেট্রোল বেসটি আর্য কল্যাণ বিহারের জমি না হওয়া সত্ত্বেও এলাকার হেডম্যান উক্ত জায়গাটি ‘ব্যাকডেট’ (পূর্বের তারিখ) দিয়ে কিয়াং ঘরের (আর্য কল্যাণ বিহার) জন্য দলিল তৈরি করে লিখে দিবে বলে জানায়। অকির্ড চাকমা একই সাথে এই বিষয়ে ভিক্ষু সংঘ কর্তৃক বিবৃতি দেয়া হবে বলে উক্ত স্থানীয় নেতাকে বিহারে বড় পরিসরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করে। পরবর্তীতে সেই অনুষ্ঠান থেকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার বড়সড় করে চালানোর নীলনকশা করা হয়।
গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণে উঠে আসে ইউপিডিএফ নেতা প্রসীত বিকাশ খীসা সেনাবাহিনীর অভিযানকে বিতর্কিত করে তুলতে ২৭-৩০ অক্টোবরের মধ্যে আর্য কল্যান বিহারে নাশকতার উদ্দেশ্যে বড় আকারে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করার নির্দেশ দেয়। এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য ১৫ হাজার পাহাড়ি জনগণকে বিভিন্ন এলাকা থেকে জোরপূর্বক যোগদান করতে বাধ্য করা হবে বলে অর্কিড চাকমা, বর্মাছড়ির নেতৃত্ব স্থানীয় একজন পাহাড়িকে অবগত করে এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করে।
গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণে আরও জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের জনৈক অধ্যাপক এবং খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার জ্যোতিমারা বুড্ডিস্ট ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের একজন ধর্মীয় নেতা উক্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সেনাবাহিনীর অভিযানকে বিতর্কিত করতে প্রয়োজনীয় বক্তব্য ও সমর্থন প্রদান করবেন। অনুষ্ঠানকে সফল করে তুলতে তারা পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় আর্য কল্যাণ বিহারের পক্ষ থেকে আজ ২৮ অক্টোবর বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের লিফলেট (অনলাইন এবং অফলাইন) বিতরণ শুরু করে। একই সময়ে ইউপিডিএফর দেশি-বিদেশি অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট এবং সমমনা ধর্মীয় নেতাগণ সেনাবাহিনী এবং বাঙালিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিদ্বেষমূলক এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করা শুরু করে।
পরিস্থিতির সামগ্রিক বিশ্লেষনে এটা সুনিশ্চিতভাবে বলা যায় ইউপিডিএফ বিগত ২৩-৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খাগড়াছড়ি এবং রামসু বাজার এলাকায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের আদলে পুনরায় পার্বত্য অঞ্চলকে অশান্ত করা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠিত করা ও রাষ্ট্রদ্রোহী নাশকতামূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। ইউপিডিএফর শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ (যারা সকলে ঢাকায় এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে আত্মগোপনে আছেন) খুবই পরিকল্পিতভাবে দেশের অভ্যন্তরে রাষ্ট্র বিরোধী শক্তি, বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক শক্তির পরিকল্পনায় ও আর্থিক সহায়তায় ‘মৃতদেহের রাজনীতি’এবং ঘৃণার রাজনীতিকে পুঁজি করে পার্বত্য অঞ্চলকে অশান্ত করে তোলার প্রয়াসে সর্বাত্মক প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রেখেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তারা সুচিন্তিতভাবে মহিলা, শিশু এবং কিশোর কিশোরী শ্রেণী’কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ।
মহিলা এবং শিশুদেরকে বিক্ষোভ এবং আন্দোলনের অংশ হিসেবে ব্যবহারের কারণে সেনাবাহিনীর মাঠ পর্যায়ের নেতৃত্বকে ইউপিডিএফর সশস্ত্র ক্যাডারদের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে অপরিসীম ধৈর্য্য ও বিচক্ষণতা পরিদর্শন দেখা যাচ্ছে। সেনাবাহিনীর এই সীমাবদ্ধতাকে কাজে লাগিয়ে ইউপিডিএফর শীর্ষ নেতৃত্ব (প্রসিত বিকাশ খীসা, মাইকেল চাকমা, অর্কিড, অংগ মারমাসহহ আরো অনেকে) পার্বত্য অঞ্চলকে এক অনিবার্য সংঘাতময় অঞ্চলে রূপ দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এই পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য ইউপিডিএফর সশস্ত্র ক্যাডার নিজ জাতিগোষ্ঠীর জনগণের উপর গুলি চালিয়ে হত্যা করার মত জঘন্য কার্যক্রমের দায়ভার সেনাবাহিনীর উপর চাপিয়ে সম্পূর্ণ বিষয়টিকে আন্তর্জাতিকীকরণ করার জন্য প্রতিনিয়ত অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।যার বাস্তবতা গুইমারা রামেসু বাজারে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ৩ জনকে হত্যা করে।
সার্বিক বিষয়টিকে পরিষ্কার করার জন্য গতকাল বেসামরিক প্রশাসনের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, সেনাবাহিনীর মাঠ পর্যায়ের কমান্ডার সমূহ এবং মিডিয়ার উপস্থিতিতে এলাকাবাসীর নিকট তাদের দাবির স্বপক্ষের প্রমাণাদি দাখিলের আহবান করা হলে তারা তা উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়। ইউপিডিএফ এর মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে দাবিকৃত অস্থায়ী সেনা পেট্রোল বেস বনবিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জমির উপর স্থাপন করা হয়েছে তা সত্যতা উঠে এসেছে।
এবারের সার্বিক ঘটনা’টি খাগড়াছড়ির সংবেদনশীল ধর্ষণ অভিযোগের ইস্যুর ন্যায় তবে ইষ্যুটা পরিবর্তন করে ধর্মীয় আবেগকে পুঁজি করে পাহাড় অশান্ত করার প্রচেষ্ঠার একটি পুনরাবৃত্তি চলমান। নিজ দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান পরিচালনা করা কোন পেশাদার সেনাবাহিনীর কাম্য হতে পারে না। সেনাবাহিনীর এই ধরনের কোন কার্যক্রম কখনো করে না। সেনাবাহিনী সব সময় সকল ধর্ম এবং গোষ্ঠীর ধর্মীয় এবং সামাজিক মূল্যবোধকে সম্মান করে এবং অভিযান পরিচালনাকালে এই বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে সকল স্তরের কমান্ডারদের কঠোর নির্দেশনা প্রদান করে। পার্বত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনীর মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত কমান্ডার এবং সৈনিকদের বার বার পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুখোমুখি দাঁড়া করানোর জন্য ইউপিডিএফ এবং অঙ্গ সংগঠন সমূহ পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট ইস্যু এবং ঘটনার অবতারণা করছে তা ইতিমধ্যে বিভিন্ন মেইনস্ট্রিম গণমাধ্যমে উঠে আসছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সামগ্রিক বিষয়টি অনুধাবন করে ধৈর্য্য এবং পেশাদারিত্বের সাথে প্রতিটি ইষ্যুর মোকাবেলা করে যাচ্ছে।


















