খাগড়াছড়ির বর্মাছড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে। উল্টো সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে পাহাড়ের সশস্ত্র আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ। এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মানুষকে। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, ফটিকছড়ির সীমান্তবর্তী বর্মাছড়ির সড়কে অস্ত্র চোরাচালানের রুট হিসাবে ব্যবহার করছে সন্ত্রাসীরা। অবৈধ অস্ত্র প্রবেশ ও সশস্ত্র আধিপত্য বিস্তার রোধে অস্থায়ী বেস ক্যাম্প নির্মান করেছে সেনাবাহিনী।
খাগড়াছড়ির বর্মাছড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গায় সেনাবাহিনীর বেস ক্যাম্প নির্মানের বিরুদ্ধে বিহারের জায়গা দাবী করে অপপ্রচার চালাচ্ছে ইউপিডিএফ। বিহারের জায়গার দাবীর পক্ষে বন অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন’কে কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি আর্য কল্যাণ বিহার কতৃপক্ষ। বেস ক্যাম্পটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গা, বলেছে বন অধিদপ্তর বন প্রহরী সর্তাভিট মাইন উদ্দীন।
জানা যায়, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার বর্মাছড়িতে নিরাপত্তা জোরদারে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অস্থায়ী বেস ক্যাম্প নির্মাণ করেছে সেনাবাহিনী। বর্মাছড়ি পার্বত্য চট্টগ্রামের সাথে সমতলের যোগসূত্র হবার কারণে দীর্ঘদিন ধরে দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসীদের অস্ত্র চোরাচালানের রুট হিসেবেও ব্যবহার হয়ে আসছে। বর্মাছড়ি সীমান্ত সড়কে ইউপিডিএফ অবৈধ অস্ত্র প্রবেশ ও সশস্ত্র আধিপত্য বিস্তার রোধে “অপারেশন উত্তরণ” অংশ হিসাবে ২৪ আর্টিলারী বিগ্রেড গুইমারা রিজিয়নের ৩২ ফিল্ড আর্টিলারী জোন বর্মাছড়িতে এ অস্থায়ী বেস ক্যাম্প নির্মাণ করেছে।
এদিকে বিহারে জায়গায় বেস ক্যাম্প স্থাপন নির্মাণের অভিযোগ করলেও গতকাল সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকাল ৩ টার দিকে ২১ নং খিরাম ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত কুমার দাশ, মানিকছড়ি সহকারী কমিশনার (ভূমি) খাদিজা তাহিরা, ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী, ২ নং ফটিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রাম্যান উষাতন চাকমা। আর্য কল্যান বন বিহার সাধারণ সম্পাদক বাবুল চাকমা। সেনাবাহিনীর মাঠ পর্যায়ের কমান্ডার এবং গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে বিহারের জায়গার দাবির স্বপক্ষের কোন প্রমাণাদি দাখিল করতে পারেনি আর্য কল্যাণ বিহার কমিটি।


















