রাঙামাটির অনন্য ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও বৈশিষ্ট্য গ্রন্থ প্রকাশনা বের করতে স্থানীয় সাংবাদিকদেরচক্র ও মতামত বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভার পরিচালনা করেন জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী খোন্দকার মোঃ রেজাউল করিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের সদস্য বাবু দেব প্রসাদ চাকমা, মাছুদা আক্তার ও সদস্য নাইপ্রু মারমা।
চেয়ারম্যান বলেন, রাঙামাটির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরে আমরা আপনাদের সহযোগিতায় যে গ্রন্থটি বের করতে যাচ্ছি তাতে আপনাদের লিখনি, সুচিন্তিত, সর্বাত্মক সমর্থন ও মতামত দিয়ে উপকৃত করবেন। এবিষয়ে আপনাদের মধ্যে দিয়ে একটি কমিটি করা হবে সেই কমিটি বসে আরেকটি কমিটি করবেন যা চুড়ান্ত কমিটি গঠন করা হবে।

চা চক্র অনুষ্ঠানে গ্রন্থ প্রকাশনা বের করতে সুচিন্তিত পরিকল্পনা ও মতামত প্রকাশ করেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক এম কামাল উদ্দিন, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেব নাথ, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সৈকত রঞ্জন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মিশু দে, জার্নালিষ্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি শান্তিময় চাকমা, সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা জান্নাত মুমু, সাংবাদিক হিমেল চাকমা, সাংবাদিক জিয়াউল হক জিয়া, সাংবাদিক মোঃ সোলাইমানসহ আরো অনেকে।
সাংবাদিকেরা রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ, ধর্মীয় সম্প্রীতিও সামাজিক সহাবস্থান, পাহাড়ি সংস্কৃতির বৈচিত্র্য, কারুশিল্প, বয়ন ও হস্থশিল্প, সুবলং জলপ্রপাত, ঝুলন্ত সেতু ও পর্যটন সম্ভাবনা, জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য, পাহাড়ি খাদ্যসংস্কৃতি ও জীবনধারা এবং রাজবন বিহারের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
রাঙামাটি শুধু একটি ভৌগোলিক এলাকা নয়, এটি প্রকৃতি, মানুষ ও সংস্কৃতির জীবন্ত দলিল। তাই এই চা- চক্রের মাধ্যমে আমরা সবাই মিলে রাঙামাটির সেই আত্নাকে লিপিবদ্ধ করতে চাই, যেন তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বয়ে চলে- জ্ঞান, ঐতিহ্য ও ভালোবাসার সেতুবন্ধন হয়ে থাকে। গ্রস্থ প্রকাশ কমিটির সভা আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।


















