বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে রাঙামাটিতে। দিনভর রোদ বা সূর্যের দেখা মিলেনি।
বৃষ্টির কারণে জেলার বিভিন্ন স্থানে সড়ক পাশ ও পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সড়কের উপর পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ায় ধীরে চলতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে।
শহরের ভেদভেদি যুব উন্নয়ন এলাকায় সড়কের পাশ ধসে যাওয়া বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।এতে তৈরি হয়েছে দুর্ভোগ। তবে কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন।
এছাড়া জেলার বরকল জুরাছড়ি বিলাইছড়ি উপজেলায় ৭২ ঘন্টার অধিক সময় ধরে বিদ্যুৎ নেই জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
রাঙামাটি চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাপছড়ি, কলাবাগান এলাকায় সড়কের উপর পাহাড় থেকে মাটি ধসে পড়ায় যান চলাচল ব্যহত হচ্ছে।
এদিকে পাহাড় ধসের ঝুঁকি বাড়ায় আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে মানুষ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অনেকে এখনো ঝুকিপূর্ণ বসতি ছাড়েনি।
আশ্রয় কেন্দ্রে অব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগ আছে অনেকের।
রাঙামাটি বেতার কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া জাকের হোসেন(৪০) নামে একজন অভিযোগ করেন আমাদের জোর করে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হচ্ছে কিন্তু খাবার দেয়া হচ্ছে না। বন পাউরুটি কলা দিয়ে দায় ছাড়া হচ্ছে। জাকেv অভিযোগ করেন ঘর খালি ফেলে আসা হলে গবাদি পশু চুরি হয়।
এদিকে দুর্যোগ মোকাবিলায় শহরের ১৯টি সরকারি প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। দুর্যোগ মোকাবিলায় যৌথ সমন্বয়ে কাজ করছে প্রশাসন।
দুপুরে শহরের বিভিন্ন এলাকা ও আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান ও পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ।
শহরের শিমুলতলী,রুপনগর বিএম ইনস্টিটিউট আশ্রয়কেন্দ্র গুলো পরিদর্শন করেন তাঁরা। পরে রুপনগর, যুব উন্নয়ন ও পাসপোর্ট একাকার ঝুঁকিপূর্ণ স্থান গুলোও পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার আশ্রয়কেন্দ্র থাকা লোকজনে সাথে কথাবার্তা বলেন ও খোঁজ খবর নেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহম্মদ, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আরিফুল আমিনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহম্মদ, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আরিফুল আমিনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান বলেন, আমার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সব প্রস্তুতি রেখেছি। রাস্তা সচল ও বিদ্যুৎ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার চেষ্টা করছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরও একি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় পুলিশের সদস্যদের প্রস্তত রাখা হয়েছে।
এদিকে কর্ণফুলী নদীর পাহাড়ি ঢলে পানির স্রোত বাড়ায় সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে পাহাড় ধসে রাঙামাটিতে ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর থেকে প্রতি বছর পাহাড় ধসের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে আসছে।