ভূমি দস্যুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই! স্লোগানে রাঙামাটির লংগুদুতে সেটেলার কতৃক বিবেক সাধনা বন বিহারের জমিসহ গ্রামবাসীদের ভূমি বেদখলের প্রতিবাদে চার সংগঠনে
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ কাউখালি উপজেলা শাখা।
উক্ত সমাবেশে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) কাউখালি উপজেলা শাখার সদস্য রুপনা চাকমার সঞ্চলনায় ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) কাউখালী উপজেলার সহ-সভাপতি তুজিম চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ইউপিডিএফ সংগঠক অমর চাকমা ,গনতান্ত্রিক যুব ফোরামের কাউখালি উপজেলার সভাপতি থুইনুমং মারমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কাউখালী উপজেলা তথ্য প্রচার সম্পাদক মাউচিং মারমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সাধারণ সম্পাদক মেনুচিং মারমা।
অমর চাকমা লংগদুতে সেটলার কর্তৃক বৌদ্ধ বিহারসহ স্থানীয় পাহাড়িদের জমি বেদখলের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বেদখল দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমিও সেটলাররা বেদখল করছে। রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের কারণে সেটলাররা ভূমি বেদখলে সাহস পাচ্ছে।
তিনি ভূমি বেদখলের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভূমি বেদখলকারীদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।
যুবনেতা থুইনুমং মারমা ও নারীনেত্রী মাউচিং মারমা বলেন, ভূমি হচ্ছে আমাদের প্রাণ, আমাদের অস্তিত্ব। তাই ভূমি রক্ষার জন্য নারী সমাজ, যুব সমাজকে ও সংগঠিত হতে হবে। তারা অবিলম্বে বেদখলকৃত লংগদু বিবেক সাধনা বনবিহারের জমি ফেরতদান ও বেদখলকারী সেটলারদের গ্রেফতার করে শাস্তি দেয়ার দাবি জানান।
ছাত্র নেতা তুজিম চাকমা বলেন, প্রশাসনের সহয়োগীতায় পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথায় ভুমি বেদখল করা হচ্ছে। লংগদুতে বিবেক সাধনা বনবিহারের জমি দখল করে সেটলারদের অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করে সেটলাররা বিহারটি উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে এই ভূমি বেদখলের বিরুদ্ধে সকল ছাত্র-যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধে হয়ে প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।
তিনি অবিলম্বে লংগদুরে বিবেক সাধনা বনবিহারের জমি বেদখল বন্ধসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বেদখল বন্ধের দাবি জানান।