রবিবার , ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

মন রাঙানো রাঙামাটি

প্রতিবেদক
জিয়াউর রহমান জুয়েল, রাঙামাটি
ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪ ৬:০১ অপরাহ্ণ

অরণ্য, পাহাড়, ঝরনা আর হ্রদের স্বচ্ছ জলরাশির উপচেপড়া সৌন্দর্যের আধার রাঙামাটি। বিনোদনের খোঁজে পাহাড়ে আসা পর্যটকদের আনন্দ আর উচ্ছ্বলতা সাময়িক হলেও, ভুলিয়ে দেয় জীবনের নানান জটিলতা। তাই ইটপাথরের শহর আর যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি দূর করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার ভ্রমণপিপাসু মানুষ ছুটে আসেন এই পার্বত্য জেলায়।

এলোমেলো সারিতে সাজানো উঁচু-নিচু আর ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড়ের সমাবেশ রাঙামাটিতে। যেদিকে চোখ যায়, স্বচ্ছ জলরাশি আর বিস্তীর্ণ সবুজের হাতছানি। সবুজ পাহাড়ের পরতে পরতে রয়েছে অসংখ্য ঝরনাধারা।

এ সময়ে ধীরে ধীরে কমছে শীতের দাপট। তবে গরমের তীব্রতা বাড়ার আগেই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ার মোক্ষম সময় হতে পারে প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে। বেরিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিতে চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন যাতায়াত, থাকা, খাওয়া আর ভ্রমণের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো।

রাঙামাটির অন্যতম আকর্ষণ ঝুলন্ত সেতু : রাঙামাটিতে পর্যটকদের মূল আকর্ষণ ৩৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ঝুলন্ত সেতুকে ঘিরেই। তাই পর্যটকরা প্রথমেই ছুটে যান পর্যটন কমপ্লেক্স এলাকায়। বছরে প্রায় পাঁচ লাখ দেশি ও বিদেশি পর্যটক সেতুটি দেখতে আসেন। বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে শুভলং ঝরনা, ফুরমোন পাহাড়, সুখী নীলগঞ্জ ও রাজবন বিহার, রাঙামাটি ডিসি বাংলো, কাপ্তাইয়ে বিজিবির ‘ঝুম রিসোর্ট’ এলাকায় প্রতিনিয়ত ভিড় জমান পর্যটকরা। বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় থাকে। পর্যটন স্পটগুলোতে সড়ক ও নৌপথে পর্যটকদের সহজে যাতায়াতের ব্যবস্থা আছে।

নৌ-ভ্রমণের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা : কাপ্তাই হ্রদে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাসংবলিত ১০টি হাউসবোট রয়েছে। হ্রদের জলে ভাসমান এসব হাউসবোটে থাকা, খাওয়া ও ভেসে বেড়ানোর রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে পারেন পর্যটকরা। এতে জনপ্রতি ৩৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকায় দুই দিন এক রাত অবস্থান করতে পারেন আগ্রহীরা। আর ভাসমান রেস্টুরেন্ট ‘দোল’-এ সভা-সেমিনারসহ ১৫০ জনের যেকোনো অনুষ্ঠান করার ব্যবস্থা আছে। ২৫ হাজারে মিলছে এই সুবিধা।

কায়াকিং সুবিধা : পুলিশের ‘পলওয়েল পার্ক’ ও সেনাবাহিনীর ‘আরণ্যক’ এবং ‘বড়গাঙ’. ‘বারগী লেক’, ‘বেরান্যে’ ইকো রিসোর্টে একক ও ডাবল সিটের কায়াকিং করার ব্যবস্থা আছে। ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায় নেওয়া যাবে প্রতিঘণ্টার ভাড়া।

এর বাইরেও নৌ-ভ্রমণের জন্য রয়েছে ছয় শতাধিক স্বল্প ও দ্রুতগতির নৌযান। রাঙামাটি ভ্রমণে এসে কাপ্তাই হ্রদে নৌবিহারের সুযোগ যারা হাত ছাড়া করতে চান না, তাদের জন্য আছে চমৎকার ইঞ্জিন বোট। ঘণ্টা কিংবা চুক্তিতে ভাড়ায় মিলবে দেড় থেকে ৬ হাজার টাকায়।

যেভাবে যাবেন রাঙামাটি : ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে যাতায়াতের জন্য সরাসরি বাস সার্ভিস আছে রাঙামাটিতে। ভাড়া জনপ্রতি ৮৭০ থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত। নন-এসির মধ্যে এস আলম, ইউনিক, শ্যামলী, ডলফিন, রিল্যাক্স ও এভারগ্রীন বাসের ভাড়া ৮৭০ টাকা। আর এসির মধ্যে শ্যামলী ১৭০০, গ্রীনলাইন ১৮০০ এবং সেন্টমার্টিন পরিবহন ১২০০-১৮০০ টাকা। চট্টগ্রাম শহরের অক্সিজেন মোড় থেকে পাহাড়িকা ও বিআরটিসি ১৭০ এবং দ্রুতযান বাস সার্ভিসের ভাড়া ১৫০ টাকার মধ্যে।

থাকার যত ব্যবস্থা: রাঙামাটি শহরে প্রায় ৬৫টি হোটেল-মোটেল রয়েছে। ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ৩০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স ১৬০০-৩২০০, পুলিশের ‘পলওয়েল পার্ক’ ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার এবং সেনাবাহিনীর ‘আরণ্যক’-এর কক্ষ ও কটেজ ভাড়া পড়বে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। এ ছাড়া রাঙামাটি-কাপ্তাই সড়কে বড়াদাম এলাকায় গড়ে ওঠা ইকো রিসোর্ট ‘বড়গাঙ’. ‘বারগী’, ‘বেরান্যে’, ‘রাইন্যা টুগুন’সহ শহরের কাছের ১৭টি ইকো রিসোর্টে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায় মিলবে কটেজ সুবিধা। কাপ্তাইয়ে নৈসর্গিক রিসোর্ট-কটেজসহ বেশ কয়েকটি পর্যটন স্পট রয়েছে। আর হালের ক্রেজ ‘সাজেক ভ্যালি’-তে ১১২টি রিসোর্টে ছোট বড় আট শতাধিক কটেজে ভাড়া পড়বে ২ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত। সব মিলিয়ে প্রতিদিন অন্তত ১০ হাজার অতিথি হোটেল-মোটেল-রিসোর্টগুলোতে থাকতে পারবেন। পর্যটকদের সেবা দিতে এসব প্রতিষ্ঠানে দুই সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।

খাবার-দাবার : দেশীয় এবং পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী বাহারি খাবারের ব্যবস্থা আছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। দাম মোটামুটি হাতের নাগালেই। জনপ্রতি ১২০ থেকে ৬০০ টাকায় মিলবে খাবার।

পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে কাঁচামরিচ ভর্তা আর শাকসিদ্ধ থেকে শুরু করে ব্যাম্বো চিকেন (বাঁশের খোলে মুরগির মাংস রান্না) সবই মিলবে। তবে অর্ডারের আগে দাম জেনে নেওয়াই উত্তম।

কেনাকাটা: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম মিঠা পানি কৃত্রিম জলাধার কাপ্তাই হ্রদের মাছ, পাহাড়িদের নিজস্ব পদ্ধতিতে তৈরি ঐতিহ্যবাহী কাপড়, পাহাড়ে উৎপাদিত মৌসুমি ফল পাওয়া যায় বিভিন্ন মৌসুমে। এ ছাড়া বাঁশের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র, গৃহস্থালি পণ্য ও শোপিসও পাওয়া যায় স্থানীয় বাজার ও শোরুমগুলোতে।

নিরাপদ হোক ভ্রমণ : পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি রয়েছে রাঙামাটি ট্যুরিস্ট পুলিশ ও নৌপুলিশ। এ ছাড়া জেলা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ সদস্যরাও মাঠপর্যায়ে মোতায়েন তো আছেই।

 

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত

শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বিএনপি’র অবস্থান কর্মসূচি পালন

সাফ জয়ী ঋতুপর্ণাকে সংবর্ধনা দিলো কাউখালী বিএনপি

মানিকছড়িতে প্রান্তিক কৃষকরা পেলেন কৃষি উপকরণ, বীজ, সার ও চারা

‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করতে ঢাবিতে সমাবেশ

কাপ্তাইয়ে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ 

কাউখালীর বিভিন্ন কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধিদের সাথে জেলা প্রশাসকের সভা

কাপ্তাইয়ে তনচংগ্যা ও মারমা ভাষার বর্ণমালা প্রশিক্ষণের  উদ্বোধন করলেন দীপংকর তালুকদার এমপি

বিজয় দিবস উপলক্ষে কাপ্তাই বিএসপিআইয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

রাঙামাটিতে নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

 যুব ও বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্রে ল্যাপটপ বিতরণ

%d bloggers like this: