বাংলাদেশের হিন্দুরা এখনো নিপীড়ন নির্যাতনের শিকার। গত ১০ বছরে ৫৯ হাজার হিন্দু বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে গেছে। হিন্দুদের ৩০ লাখ একর জমি বেদখল হয়ে আছে। এগুলো উদ্ধারে মামলা ও ভোগ দখল করতে পারছেন না হিন্দুরা। হিন্দু মা বোনেরা ধর্ষণ খুন অপহরণ ও শ্লীলতাহানীর শিকার হচ্ছে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে মন্দির বাড়িঘর। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল লুটপাট ও ভাংচুর চালানো হচ্ছে। এটি এখনো অব্যাহত আছে।
শুক্রবার সকালে রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে বিশ্ব হিন্দু ফেডারেশন রাঙামাটি জেলা কমিটির আত্ম প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন হিন্দু নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু ফেডারেশন নেতারা বলেন, হিন্দুরা কোনদিন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় না। কিন্তু তারা অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিরাপদে পালন করতে পারছেন না। কোন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করলে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগেন। সম্প্রতি যে দুর্গাপুজা হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায় প্রতিমা ভাংচুর করার খবর পাচ্ছি। প্রতি বছর এ খবর আমরা পাই। হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে এ বিশ্ব হিন্দু ফেডারেশন কাজ করবে বলেন হিন্দু নেতারা।
হিন্দু নেতারা বলেন, দেশের অন্যান্য এলাকা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের একটু শান্তিতে বসবাস করলেও এখানে তারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। পার্বত্য চুক্তিতে হিন্দুদের অধিকারের কথা বলা হয়নি। বর্তমানে রাঙামাটি জেলা পরিষদের যে হিন্দুকে সদস্য করা হয়েছে তিনি শয্যাশায়ি। তিনি হিন্দুদের অধিকার বিষয়ে কোন কিছু করতে পারছে না।
সংবাদ সম্মেলনে ২১ সদস্য বিশিষ্ট বিশ্ব হিন্দু ফেডারেশনের রাঙামাটির আহবায়ক কমিটি করা হয়। এতে অমর কুমার দে কে আহবায়ক এবং সদস্য সচিব হিসেবে নির্বাচিত করা হয় স্বপন কুমার দে কে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, হিন্দু মহা ঐক্য জোট রাঙামাটি সদস্য সুজিত ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় সদস্য কাজল কান্তি দাশ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন কুমার দে, চট্টগ্রাম বিভাগ সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব দাশ সুবল, সদস্য বিত্ত বায় চৌধুরী, বিজয় দাশ, টিপু দেবনাথ প্রমূখ।