নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধী ভ্যাকসিন ‘জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৪’ কর্মসূচির আওতায় রাঙামাটি জেলায় ২৯ হাজার ৪৬৭ কিশোরীকে টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) থেকে সারা দেশের সঙ্গে রাঙামাটি জেলায় বিনামূল্যে এ টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে ১৮ দিনব্যাপী ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। এ উপলক্ষ্যে বুধবার দুপুরে রাঙামাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে অতিথি ছিলেন দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক একেএম মকছুদ আহমেদ, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল ও রাঙামাটি রিপোর্টোর্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা প্রমুখ। কর্মসূচির বিস্তারিত উপস্থাপন করেন বিশ্ব-স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. তানভীর হোসেন ও রাঙামাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. জয়ধন তঞ্চঙ্গ্যা।
এ সময় বলা হয়, বাংলাদেশে নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। পঞ্চম-নবম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত বা ১০-১৪ বছর বয়সী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের জন্য এ টিকা অধিকতর কার্যকর। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকার একটি ডোজই যথেষ্ট। এ টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে এ টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।
ডসভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা বলেন, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বহু নারীর মৃত্যু ঘটছে। বিশ্বে প্রতি ঘন্টায় এর মৃত্যুর হার ১২০। তাই ভবিষ্যতে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে নিরাপদ রাখতে সরকার বিনামূল্যে এইচপিভি টিকাদানের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এ টিকা অত্যন্ত মূল্যবান। ফলে সবার পক্ষে টিকাটি নেওয়া সম্ভব হয় না। তাই রাঙামাটিতে এ টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন সবাইকে আন্তরিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসা।
সিভিল সার্জন বলেন, কর্মসূচির মধ্যে রাঙামাটিতে ১০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ে এবং আট দিন কমিউনিটি ভিত্তিক পরিচালিত হবে। দুর্গম এলাকায় টিকাদান নিশ্চিত করতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া আছে। জেলার ১০ উপজেলার ২টি পৌরসভাসহ মোট ৫০ ইউনিয়নে ৯৫৫ শিক্ষপ্রতিষ্ঠানের ২৭ হাজার ৯০০ এবং শিক্ষপ্রতিষ্ঠানের বাইরে ১ হাজার ৫৬৭ কিশোরীকে ঠিকাদানের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫ হাজারের অধিক অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে।