বাঘাইছড়ি উপজেলার বটতলীতে আপন চাচাতো জেঠাতো ভাইয়ের মধ্যে জমি নিয়ে মারামারির ঘটনায় পক্ষ-বিপক্ষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার বেলা ৩ঘটিকার সময় বাঘাইছড়ি উপজেলার বটতলী খালের পশ্চিম পাশে হেডম্যান পাড়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড বটতলীছড়া নামক স্থানে মারামারি বাঁধে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ৮-১০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিক ভাবে উভয় পক্ষে থেকে- মাহমুদুর রহমান, শামসুর রহমান, আব্দুল মজিদ, আব্দুল আজিজ, মাহবুবুর রহমান, আরিফুর রহমান, তৈয়বুর রহমান ও পরিবার পরিজনসহ ৮-১০ জন আহত হওয়ার খবর শোনা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাহমুদুর রহমান ও তৈয়বুর রহমান তারা আপন চাচাতো জেঠাতো ভাই। দীর্ঘদিন ধরে জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে মামলা মোকাদ্দমা চলছে। ওই জমির দখলদারিত্ব ও ভাগাভাগি নিয়ে বুধবার উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়া বিবেদের এক পর্যায়ে বড় আকারের মারামারি বাঁধে। মারামারিতে নারী পুরুষ মিলে উভয় পক্ষের মধ্যে ৮-১০জন আহত হয়েছে। তার মধ্যে পক্ষ গ্রুপের তৈয়বুর রহমানের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন তাকে তাৎক্ষণিক খাগড়াছড়ি সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে বিপক্ষ গ্রুপের আব্দুল মজিদ বাম হাতে দায়ের কুপ খেয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা যায়।
পক্ষে-আরিফুর রহমানের জেঠাতো ভাই মাহমুদুর রহমান বলেন, জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে আমার চাচাতো ভাই ও তাদের আত্মীয়-স্বজন মিলে আমাদেরকে অতর্কিত ভাবে মারধর করেছে। এটার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। জমি সংক্রান্ত মামলা আদালতে চলমান আছে অযথা তারা আমাদেরকে মারধর করেছে। আমার চাচাতো ভাইয়েরা পরিবার পরিজনসহ ধারালো দা-খন্দা ও কুড়াল নিয়া আমাদেরকে আক্রমণ করে এতে আবদুল মজিদ গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতাল ভর্তি আছেন।
বিপক্ষ- মাহমুদুর রহমানের চাচাতো ভাই আরিফুর রহমান বলেন, আমরা উভয় পক্ষ আপন চাচাতো ও জেঠাতো ভাই। দীর্ঘ দিন ধরে জমি বিরোধ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তার মধ্যে আমার জেঠাতো ভাই মাহমুদুর রহমান ও শামসুর রহমান তাদের পরিবারবর্গ মিলে অতর্কিত হামলা চালায় আমাদের উপর। এতে আমার ছোট ভাই তৈয়বুর রহমান মারাত্মক ভাবে আহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়ছিড়ি সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশংকাজনক।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, বাঘাইছড়ির বটতলীতে তাদের আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে জমি-জামা নিয়ে মারামারি বাঁধে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এছাড়াও আমি নিজেও হাসপাতালে গিয়ে ছিলাম। এখানে কয়েকজন ভর্তি আছে। বাকি কয়েকজন খাগড়াছড়ি সদর হাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে স্বজনেরা জানিয়েছেন। যদি কেউ মামলা করতে আসে তবে আইনগত সহায়তা দেওয়া হবে।