শুক্রবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

রাঙামাটিতে ভুয়া প্রকল্পে অর্থ আত্মসাতের মামলার আসামিরা অধরা

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫ ৯:৩৫ অপরাহ্ণ

রাঙামাটিতে ভুয়া প্রকল্পে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলার আসামিরা এখনো অধরা। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে জেলার বরকল উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের জুন মাসে ৯ জনের নামে একাধিক মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাঙামাটির কার্যালয়। দুদক রাঙামাটির সহকারী পরিচালক ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে এসব মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নের কামিনি চাকমা জমির ওপর মৎস্য বাঁধ ও পাকা সেচ ড্রেইন নির্মাণ প্রকল্পটি ২০০১৭-১৮ অর্থবছরে গৃহীত হয়। ৪৮ মিটার বাঁধটি নির্মাণের জন্য ২০ লাখ ও ১৯২ মিটার দৈর্ঘ্যরে পাকা ড্রেইন নির্মাণের জন্য ১০ লাখসহ মোট ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তদন্তে দুটি প্রকল্পে ৮ লাখ ৮০ হাজার ১৫৫.৮৫ টাকা আত্মাসাৎ করার প্রমাণ পাওয়া যায়। উক্ত কাজে সংশ্লিষ্ট রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রিগ্যান চাকমা, সহকারী প্রকৌশলী জ্যোর্তিময় চাকমা, নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, ঠিকাদার প্রো. মেসার্স সমৃদ্ধি এন্টারপ্রাইজ মিলন তালুকদার এর নামে মামলা দায়ের করা হয়।

আরেকটি প্রকল্পের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়, বরকল উপজেলার সুবলং বাজারে পানীয়জলের ব্যবস্থাকরণ গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্পটি ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে গৃহীত হয়। প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৭ লাখ টাকা। তদন্তে উক্ত স্থানে কোন নলকূপ পাওয়া যায়নি। ফলে একাজের সাথে জড়িত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রিগ্যান চাকমা, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আবদুস সামাদ, ঠিকাদার মেসার্স নাংচিং এন্টারপ্রাইজ চিংহেন রাখাইন এর নামে মামলা দায়ের করা হয়।

পৃথক আরেক মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বরকল উপজেলায় সুবলং ইউনিয়নে সুবলং কমিউনিটি সেন্টার ঘর ও পাকাসিঁড়ি নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে গৃহীত হয়। প্রকল্পটি ব্যয় ধরা হয়ে ছিলো ৯ লাখ টাকা। তদন্তে সুবলং কমিউনিটি সেন্টার ঘর ও পাকাসিঁড়ি নির্মাণ প্রকল্পটির কোন অস্তিত্বহীন ভুয়া প্রকল্প হিসেবে প্রমাণিত হয়। উক্ত প্রকল্পের সাথে জড়িত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রিগ্যান চাকমা, সহকারী প্রকৌশলী জ্যোর্তিময় চাকমা,নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আবদুস সামাদ, ঠিাকাদার অমলেন্দু চাকমা প্রোঃ মেসার্স অমলেন্দু চাকমা, জেলা পরিসদ সদস্য সবির কুমার চাকমার নামে মামলা দায়ের করা হয়।

অপর মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বরকল উপজেলাধীন পূর্ব এরাবুনিয়া মৎস্য বাঁধ হইতে হারুনটিলা এলাকার আহাদের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার নামে প্রকল্প ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে গৃহীত হয়। উক্ত প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১০ লাখটাকা। তদন্তে উক্ত স্থানে কোনমৎস্য বাঁধ এবং হারুনটিলা নামের কোন জায়গাও পাওয়া যায়নি। তদন্তে এটি অস্তিত্বহীন ও ভুয়া প্রকল্প ছিলো। উক্ত প্রকল্পের সাথে জড়িত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রিগ্যান চাকমা,সহকারী প্রকৌশলী জ্যোর্তিময় চাকমা,সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আবদুস সামাদ, ঠিকাদার মেসার্স নাংচিং এন্টারপ্রাইজ চিংহেন রাখাইন,মামুনুর রশীদ মামুন, চেয়াম্যান ৪নং ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিসদ সদস্য সবির কুমার চাকমা।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার বাদী রাঙামাটি সম্বনিত কার্যালয় দুর্নীতি দমন এর উপ-সহকারী পরিচালক ফরহাদ হোসেন বলেন, সবকটি মামলার তদন্ত শেষ। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে আদালতে চার্জসিট জমা দেওয়া হবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার স্বার্থে এখন সবকিছু বলা যাবে না। এ ব্যাপারে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী জ্যোতির্ময় চাকমার সঙ্গে সরাসরি কথা হলে তিনি বলেন, ওইসব প্রকল্পের সবগুলোর কাজ হয়েছে। তবে কয়েকটির কাজ নির্দিষ্ট স্থানে করতে না পারায় অন্য জায়গায় বাস্তবায়ন করা হয়। এটা ছাড়া অনিয়মের কিছুই হয়নি।

তবে এই বিষয়ে জানতে জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, ও অন্যান্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তারা কেউ কেউ ফোন বন্ধ রেখেছে। আবার কেউ কেউ ফোন ধরছে না। তাই তাদে;র বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। গত জুলাই বিপ্লব ও ৫ আগস্টের আগেই সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমা ও ভূষণছড়া ইউপি চেয়ারম্যান পলাতক রয়েছে।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

%d bloggers like this: