নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি।
হিল উইমন্সে ফডোরশনের ৩৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে হিল উইমন্সে ফেডারেশন ও র্পাবত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির উদ্যোগে রাঙামাটিতে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এ কর্মসূচি পালন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহযোগী দুই নারী সংগঠন।
আলচেনা সভা শুরুর আগে র্যালীর উদ্ধোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির কেন্দ্র্রীয় সদস্য জ্যোতিপ্রভা লারমা মিনু। র্যালীটি শিল্পকলা একাডেমী থেকে শুরু হয়ে ডিসি অফিস ঘুরে শিল্পকলা একাডেমীতে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম চাকমা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মনি চাকমার সভাপতিত্বে অন্যান্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, সিনিয়র আইনজীবী এড সুস্মিতা চাকমা, সাংবাদিক সুমি খান, এমএন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনরে সাধারণ সম্পাদক ইন্টুমনি তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির রাঙামাটি জেলা সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর ত্রিপুরা নান্টু, পাহাড়ী ছাত্র পরষিদরে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নিপুন ত্রিপুরা, বাংলাদশে ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান।
আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ম্রাস্নু মারমা।
আলোচনা সভায় গৌতম দেওয়ান, আমরা পাহাড়ে দুই যুগ ধরে সংগ্রাম করছি। এখানে নারীরা বিশাল অবদান রেখেছে। এদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীদের বিশাল অবদান রয়েছে।
গৌতম দেওয়ান বলেন, পার্বত্য চুক্তির ২৫ বছর চলছে দু:খজনক হলেও এ সময়ে এসে আমাদের চুক্তি বাস্তবায়নের দাবী তুলতে হচ্ছে। চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান গৌতম দেওয়ান। তিনি আরো বলেন র্পাবত্য চট্টগ্রামে আভ্যন্তরীণ উদ্ভাস্তুর সংখ্যা ৮৩ হাজার পরিবার। প্রতি পরিবারে ৫ জন করে মানুষ থাকলে সংখ্যাটা ধারায় ৪ লাখ। এই ৪ লাখ মানুষরে জন্য সরকাররে বাজটে ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকা। এটা কি ধরনরে উপহাস। এটা তো মানা যায় না।
প্রধান আলোচক গৌতম কুমার চাকমা বলনে, আমরা অধিকার পেতে চাই। আমরা অধিকার সচেতন। আমরা সংগ্রাম করতে চাই। আমাদের ভাবতে হবে আমাদের যারা প্রতিপক্ষ তারা কি চায়? প্রতিপক্ষ যা চায় তা আমরা করব না। প্রতিপক্ষ যা চায় না আমরা তা করব। পার্বত্য চট্টগ্রামের নারী সমাজকে মানুষ চিনতো না। তারা হয়ত ভাবত তারা জঙ্গলে কি বুঝবে? কিন্তু জুম্ম নারীরা আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের অধিকারের কথা জানিয়ে দিয়েছে। তারা অধিকার সম্পর্কে সচেতন। তারা আন্দোলন করতে জানে।