চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং দলের নীতি-আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রাঙামাটি জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন— রাঙামাটি জেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারুল আজিম আজম, রাঙামাটি পৌর তাঁতী দলের সভাপতি আলী আজগর বাদশা, রাঙামাটি পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য অনতোষ দাশ এবং জেলা কৃষক দলের ক্ষুদ্র ও সমবায় সম্পাদক সুমন চাকমা।
রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দিপু ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মামুনুর রশীদ মামুন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আপনারা দলীয় পদ পরিচয় ব্যাবহার করে নিজ স্বার্থে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, মানুষকে হুমকী, ভয়ভীতি প্রদর্শন, দলের মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টি সহ দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এরুপ অপকর্ম হতে বিরত থাকার জন্য কেন্দ্রীয় ও রাঙামাটি জেলা বি.এন.পি’র পক্ষ হতে দলের সকল নেতাকর্মীকে বারংবার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু আপনারা দলের সকল নির্দেশনা অমান্য করে এসকল গঠনতন্ত্র ও শৃংখলা বিরোধী কর্মকান্ড চালিয়ে দলীয় সুনাম ও দলীয় শৃংখলা নষ্ট করছেন।আপনার এ সকল কর্মকান্ড দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃংখলা বিরোধী হওয়ায় দলের গঠনতন্ত্রের ৫(গ) ধারা মোতাবেক অভ্যান্তরিণ শৃংখলা রক্ষার প্রয়োজনে আপনাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ সহ দলের সকল পর্যায়ের/অংগ সংগঠনের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান পূর্বক সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।
এছাড়া আরেকটি পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে বলাহয়, ঘটনার সার্বিক তদন্তের জন্য জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এস এম শফিউল আজম, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম মিন্টু এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামানকে নিয়ে একটি তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরেজমিন তদন্ত শেষে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, সম্প্রতি রাঙামাটি শহরের ভেদভেদী, সুখী নীলগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় কিছু বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অন্যান্য অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনেও উঠে আসে। ফলে বিষয়টি দলের জন্য বিব্রতকর ও মানহানিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাঙামাটি জেলা বিএনপি।