পার্বত্য চট্টগ্রামের বৈষম্য দূর করে বাঙালি-পাহাড়ি সকলের সম-অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে দেশপ্রেম ও সম্প্রীতি’র স্লোগান সামনে নিয়ে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন’এর ১৩১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে সদরস্থ কলাবাগান সংগঠনের স্থায়ী কার্যালয় কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি’র দায়িত্বে দীঘিনালা উপজেলা মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন।
সাবেক ছাত্র নেতা মোঃ আসাদ উল্লাহ আসাদ কে সাধারণ সম্পাদক ও মো. মনির হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে এ কমিটি’র অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া মোশাররফ হোসেন বলেন, পাহাড়ের সব জনগোষ্ঠীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় অতীতের মতো অবিচল থাকবে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন।
অন্যদিকে আসাদ উল্লাহ, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও সর্বশেষ পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
আসাদ উল্লাহ আসাদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন আগামীতেও অব্যাহত হবে। ন্যায় সংগত দাবির আন্দোলন আরও শক্তিশালী হবে।
কমিটিতে আরও আছেন জেলার জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, আইনজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবী প্রতিনিধিরা।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির স্বাক্ষরের পূর্ব মুহূর্তে খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলায় সব নাগরিকের সমান অধিকারের দাবিতে বর্তমান খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়ার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গড়ে ওঠে। চলে ব্যাপক ধরপাকড় চলে তিন পার্বত্য জেলায়।