চৈত্রসংক্রান্তিতে বাংলাবষের্র বিদায় ও বরণ উপলক্ষে আনন্দ উৎসবে মুখর এখন পাহাড়ি জনপদ। ২৯ চৈত্র থেকে পহেলা বৈশাখ পর্যন্ত । এরমধ্যে প্রথম দিনে পানিতে গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে ফুল নিবেদন আর দ্বিতীয় দিনে মূল বিজু এবং পহেলা বৈশাখে নববর্ষ পালন করে।পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ১৪টি পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব এটি।
আজ (রবিবার, ১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে রাঙামাটিতে চলছে মূল বিজু উৎসব। উৎসবে পাহাড়িদের ঘরে ঘরে সবচেয়ে বেশি কদর থাকে পাজন (পাঁচন) পরিবেশন নিয়ে। প্রতিটি ঘরে কমপক্ষে ৩২ পদের সবজি মিশিয়ে রান্না হয় সুস্বাদু পাজন তরকারি। বিশ্বাস করা হয় -পাজন খেলে শারীরিকভাবে সুস্থতা ও রোগব্যাধিমুক্ত থাকা যায়। এছাড়াও পরিবেশন করা হয় ঘরে তৈরী মিষ্টান্ন, পায়েস, পানীয়, ফল, তরমুজ ও ভোজনসহ নানা খাবার।
এ দিনে শিশু কিশোর থেকে তরুণ-তরুনীরা পাড়া-মহল্লায় দল বেধে প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে পাজনসহ নানান স্বাদের হরেক রকম খাবার খায় ও আনন্দফুর্তি করে। আবহমান বাংলার চিরায়ত বৈশাখী উৎসবের অংশীদার হন পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষেরাও।
মূলত পূরাতন বছরের সব দুঃখ কষ্ট ও গ্লানিকে মূছে ফেলে দিয়ে নতুন বছরের নব উদ্যোগের শুভ কামনা জানাতে বাংলা বর্ষের শেষ দুদিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন এ উৎসব পালিত হয়।