রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগে টাইফয়েড প্রতিরোধে বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলার দুর্গম এলাকার হেডম্যান ও কারবারিদের নিয়ে এক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আজ সকাল ১১টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নওশাদ খান।
সভায় বক্তারা বলেন, টাইফয়েড একটি মারাত্মক ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ, যা দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পাহাড়ি দুর্গম এলাকার সাধারণ মানুষকে এ রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে সরকার পর্যায়ে ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নে স্থানীয় হেডম্যান ও কারবারিদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা জনগণের কাছে টিকা গ্রহণের বার্তা পৌঁছে দেবেন এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখবেন।
সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা টাইফয়েড রোগের কারণ, প্রতিরোধ ও টিকাদান পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা উপস্থাপন করেন। বক্তারা জানান, টাইফয়েডে আক্রান্ত হলে উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, দুর্বলতা ও দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। তাই সময়মতো টিকা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
অবহিতকরণ সভায় আরও জানানো হয়, খুব শিগগিরই উপজেলার বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় ধাপে ধাপে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি চালু করা হবে। এতে শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্করা বিনামূল্যে টিকা নিতে পারবেন। সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান ও কারবারিরা স্বাস্থ্য বিভাগকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন এবং সাধারণ মানুষকে টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নওশাদ খান তার সভাপতির বক্তব্যে বলেন, “টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান অত্যন্ত কার্যকর। আমরা চাই রাজস্থলী উপজেলার প্রতিটি মানুষ এই টিকা গ্রহণ করে সুস্থ ও নিরাপদ থাকুক। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এই কার্যক্রম সফল করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন, সরকারের উদ্যোগ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাজস্থলী উপজেলাকে টাইফয়েডমুক্ত করা সম্ভব হবে।