দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার ‘জামালুর রহমান খান বিজ্ঞান-প্রযুক্তি স্কুল এন্ড কলেজ’ এর নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেধাবী একজন ছাত্রী তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকার কারণে বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পিলাপ করতে পারছিলেন না।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই শিক্ষার্থীর রিকশা চালক পিতা সাংসারিক খরচ মেটানোর পাশাপাশি তাদের দুই বোনের পড়ালেখার খরচ যোগাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন। ধারদেনা করে কয়েকদিন আগে তার বড় বোনকে কলেজের প্রথম বর্ষে ভর্তি করিয়েছেন তার পিতা। এদিকে তার নবম শ্রেণির বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পিলাপের জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর টাকা জমার শেষ দিন উল্লেখ করে বিদ্যালয়ের ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার জন্য সকল শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঋণের ভারে জর্জরিত রিকশা চালক পিতাকে বিষয়টি জানালে বিভিন্ন জনের কাছে টাকা হাওলাত চেয়ে না পাওয়ায় তাকে আর পড়াবেন না বলে জানিয়ে দেন। পিতার কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ে ওই ছাত্রী।
লোক মারফত বিষয়টি জানতে পেরে ওই ছাত্রীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন দোহাজারী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর পদপ্রার্থী সমাজসেবক মো. নাসির উদ্দীন। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) জামিজুরী এলাকায় তাঁর নিজ বাসভবনে মেধাবী ওই শিক্ষার্থীর হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন জনাব নাসির উদ্দীন।
ফরম ফিলাপের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পেয়ে ওই শিক্ষার্থী তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আমার পড়ালেখা চালানোর মত সক্ষমতা আমার পরিবারের নেই। আমি ভেবেছিলাম আমার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু নাসির আঙ্কেল আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং ফরম পিলাপের জন্য টাকা প্রদান করেছে। ভবিষ্যতেও আমার পড়ালেখায় পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন তিনি। এখন আমি নিশ্চিতভাবেই আমার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারব। মহান আল্লাহর কাছে নাসির আঙ্কেলের জন্য দোয়া করি।
এবিষয়ে মো. নাসির উদ্দীন বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মানবিক ও সেবামূলক কার্যক্রম করে আসতেছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মেধাবী ওই শিক্ষার্থীকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেছি। আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস হয়তো মেধাবী ওই শিক্ষার্থীর জন্যে নতুন আশার দ্বার খুলে দেবে। আর্থিক সংকটের কারণে দরিদ্র পরিবারের কোন মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়ালেখা যাতে বন্ধ না হয় সেজন্য সামর্থ্য অনুযায়ী আর্থিক সহায়তা প্রদান করে মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তশালীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।