রাঙামাটির রাজস্থলীতে ধর্ষণ মামলা দিয়ে স্থানীয় এক সাংবাদিককে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার সকালে রাঙামাটি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মো সুমন ও তার স্ত্রী নুসরাত জাহান নিশু।
সংবাদ সম্মেলনে মো সুমন বলেন, গত ৩ আগস্ট রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়ার সুফিপুরে বাসিন্দা কুলসুম আক্তার চন্দ্রঘোনা থানায় তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
সুমন বলেন, কুলসুম (২৯) যে তারিখে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে তার আগে এবং পরেও তিনি এলাকায় ছিলেন না। তাদের পৈত্রিক সম্পদ ভাগাভাগী করতে তিনি রাজস্থলী থেকে ২০০ কিলোমিটার দুরে খাগড়াছড়ির জেলার মাটিরাঙায় ছিলেন।
সে সময়ে মাটিরাঙা তাদের যে জমি ভাগাভাগির দলিলে তিনি স্বাক্ষর করেন। এ ছাড়াও তিনি ফেসবুকে একাধিক ছবি পোস্ট করেন। তিনি যে এলাকায় ছিলেন না তার অনেক প্রমাণ তিনি দিতে পারবেন। কোন তদন্ত না করে পুলিশ কিভাবে ধর্ষণ মামলা নিল তার বিষ্ময় প্রকাশ করেন সুমন। বলেন, সেদিন তিনি এলাকায় ছিলেন কিনা? পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার অবস্থান শনাক্ত করতে পারতেন। কিন্তু সেটা না করে কুলসুমের কথায় আমাকে আসামী করে ধর্ষণ মামলা নিল?
সুমনের স্ত্রীর নিশু বলেন, আমাদের সাথে ভূমি বিরোধ কুলসুমদের ভূমি বিরোধ আছে। ভূমি বেদখলের কারণে তাদের বিরুদ্ধে আমি একটি মামলা করেছি। এ মামলা চলমান আছে। আমার স্বামী সুমন এ মামলায় সহযোগীতা করছে। তাকে নিস্ক্রিয় রাখতে ষড়যন্ত্রভাবে এ মামলা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুফিপুরের বাসিন্দা আবু মুছা, আফজাল হোসেন, রেজাউল করিম।