তারুণ্যের উৎসবের সমাপনীর পূর্বে আজ রাঙামাটি জেলায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মিনি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা। রাঙামাটি জেলার সদর উপজেলার আইলাভ রাঙামাটি (বরাদম) হতে রাঙামাটি হ্লা ম্যা চৌধুরী মিনি মারী স্টেডিয়াম পর্যন্ত ১১.২৫ কিলোমিটার ম্যারাথনের উদ্ভোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) জনাব রুহুল আমীন। এ প্রতিযোগিতা তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। বয়স ৪০+ ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণ করে মোট ৯ জন, নারী ক্যাটাগরিতে মোট ৪০ জন এবং সাধারণ ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণ করেন ২৬২ জন প্রতিযোগী। প্রতিযোগিতার বিশেষত্ব ছিল উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্কুল কলেজ পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ। শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে রাঙামাটি সরকারি কলেজের প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক পর্যায়ের ৭ জন তরুণ শিক্ষক। তারা হলেন গণিত বিভাগের ড. মুহাম্মদ খলিলুর রহমান এবং এস এম শরীফ উদ্দিন রাসেল, পালি বিভাগের মো. রফিকুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মো. আনোয়ার হোসাইন, ইতিহাস বিভাগের মো. নুরুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের মোঃ আকরামুল হক এবং প্রাণীবিদ্যা বিভাগের মোছাম্মদ রাশেদা মমতাজ।
প্রতিযোগিতা সম্পর্কে গণিত বিভাগের ড. মুহাম্মদ খলিলুর রহমান বলেন- ” আমরা যাদের নিয়ে কাজ করি তাদের সবার বয়স ১৭ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে, এরা সবাই বয়সে তরুণ। তাদের মাঝে রয়েছে সৃষ্টিশীলতার এক অপার সম্ভবনা। সেটাকে কাজে লাগাতে হবে।এই মিনি ম্যারাথন তাদেরকে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার সুন্দর মাধ্যম। এটা অব্যাহত থাকা প্রয়োজন।” এ বিষয়ে পালি বিভাগের মো. রফিকুল ইসলাম বলেন- ” আমি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একজন এথলেট ছিলাম। আমি জানি সুস্থ থাকার জন্য এটা কতটুকু প্রয়োজন। আয়োজকদের ধন্যবাদ এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য।” এই ম্যারাথনের আয়োজনে ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রাণীবিদ্যা বিভাগের রাশেদা মমতাজ বলেন- “এটা আমার প্রথম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ, আমি মূলত আমার কলেজের ছাত্রীদের উৎসাহ দিতে এখানে এসেছি।” ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মো. আনোয়ার হোসাইন এভাবেই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন যে- ” জয় পরাজয় বড় কথা নয়, অংশগ্রহণ করছি এটাই বড় কথা।” গণিত বিভাগের এস এস শরীফ উদ্দীন রাসেল বলেন- ” শিক্ষক-শিক্ষার্থীর এক সুন্দর মিলন মেলা হলো আজকের এই আয়োজন। অংশগ্রহণ করে আমার খুব ভাল লাগছে। ” ICT বিভাগের আকরামুল হক শিক্ষার্থীদের সাথে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন- ” এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে আমরা শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেবার জন্য পাহাড়ি উচু-নিচু রাস্তায় দৌড়ানোর জন্য এসেছি। আমাদের দেখে তারা উৎসাহ পাবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ”
প্রতিযোগিতায় সাধারণ ক্যাটাগরিতে ৫ম স্থান অধিকার করেন প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. হাফিজুর রহমান।