দীর্ঘ প্রায় তিনমাস পর ভেসে উঠায় খুলে দেওয়া হলো রাঙামাটির মনোরম ঝুলন্ত সেতু। শুক্রবার থেকে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের রাঙামাটি হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, দীর্ঘ প্রায় তিন মাস পর ঝুলন্ত সেতুটি ভেসে উঠেছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেলে ৩০ জুলাই সেতুটি ডুবে যায়। এখন পানি সরে যাওয়ায় সেতুটি উপরে উঠেছে। আমরা এখন সেতুর কিছু প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ করছি। সেতু দিয়ে চলাচল খুলে দেওয়া হয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে আজ (শুক্রবার) থেকে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশপত্র (টিকিট) চালু করে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি সেতুটি তিনমাস ডুবে থাকায় আমাদের যে রাজস্ব আয়ের লোকসান গেছে তা দ্রুত কাটিয়ে উঠবে। সেতুটি চালু করে দেওয়ার পর এবার রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক আগমণ ঘটবে বলে প্রত্যাশা।
মূলত চলতি বর্ষায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে গেলে এতে ডুবে যায় সেতুটি। ৩০ জুলাই থেকে দীর্ঘ প্রায় তিনমাস ধরে ডুবে থাকার পর বর্তমানে সেতু থেকে পানি সরে গেছে। এতে সেতুটি উপরে উঠায় চলাচলে সচল হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ করা হয়েছে। এতদিন সেতুটি ডুবে থাকায় সরকারের প্রচুর রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। সেতুটি ডুবে থাকাকালে নিরাপত্তার জন্য তা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ছিল। বৃহস্পতিবার থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে সেতু দিয়ে হাঁটাচলা খুলে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শুক্র ও শনিবারসহ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরতে গিয়ে এতদিন দৃষ্টিনন্দন রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুটি উপভোগ করতে না পারায় হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হতো তাদের। সেতুটি সচল হওয়ায় এখন থেকে পর্যটকদের প্রচুর আগমন ঘটবে বলে আশা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর
থেকে স্থানীয় লোকজন ঝুলন্ত সেতুতে বেড়াতে গিয়ে হাসি খুশিতে মন ভরে গেছে তাদের। তারা বলেন, দীর্ঘ তিন মাস পর তারা পর্যটন ঝুলন্ত সেতুতে ঘুরতে আসেন।


















